আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মারিওপোলে হামলার শিকার সুলতান সুলেমান মসজিদে আটকে পড়া ৮০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। নিরাপদে উদ্ধারে তুর্কি সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তারা। খবর আলজাজিরার।
মসজিদটির ইমাম জানান, নিরাপদ পানি ও খাদ্যের অভাবে অনেকটা না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে সবাইকে। তাদের শঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে হতে পারে ফের গোলাবর্ষণ।
টানা গোলাবর্ষণ আর বোমা আতঙ্কেও বন্ধ হয়নি যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিওপোলে পবিত্র আজানের ধ্বনি। যুদ্ধের ডামাডোলকে পাশ কাটিয়ে ঠিকই আদায় হচ্ছে নামাজ। তবে নানামুখী সংকটে মসজিদটিতে আটকে পরা নারী-শিশুদের নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে তুর্কি সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তারা।
মারিওপোল মসজিদের ইমাম মেহমেত ইউসুফ বলেন, এখন এখানে শুধু শুক্রবারের নামাজ আদায় করছি। হামলায় একপাশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচের জানালা-দরজা সব ভেঙে গেছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে বলবো এখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ, দ্রুত সবাইকে সরিয়ে নিন। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে পানি-খাবার কিছুই নেই।
এসব মুসলিম তুর্কি নাগরিকদের উদ্ধারে এরইমধ্যে রাশিয়ার সহায়তা চেয়েছে এরদোগান সরকার। তবে কবে নাগাদ দেশে ফিরিয়ে নেবে তা অনিশ্চিত।
তুর্কি নাগরিক ইলমাজ আরদিক বলেন, আমাদের ওপর একের পর এক বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। গোলাবর্ষণের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যু হতে পারে। আমরা চাই দ্রুত মানবিক করিডোর নিশ্চিত করা হোক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু বলেন, স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমেও সেখানে যোগাযোগ স্থাপন করাটা খুবই কঠিন। তবে আটকে পড়াদের সাথে কথা হয়েছে। পাশে হামলা হলেও সরাসরি মসজিদের ওপর কোনো বোমা পড়েনি। রাশিয়াকেও বিষয়টি অবগত করেছি আমরা। পরিস্থিতি দেখে নাগরিকদের ফেরানো হবে।
আঙ্কারা জানিয়েছে, আটকে পড়া মুসলিমদের উদ্ধারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাস। তবে টানা হামলার কারণে শহরটিতে ঢুকতেই পারছে না উদ্ধারকারী দল। গেল শনিবার সুলতান সুলেমান মসজিদটির কাছে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। গুড়িয়ে দেয়া হয় আশপাশের বেশ কয়েটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।