এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
আঞ্চলিক ডাল গবেষনা কেন্দ্র, মাদারীপুরের অর্থায়নে ও সরেজমিন গবেষনা বিভাগ, ফরিদপুরের উদ্যোগে প্রতিকুল আবহাওয়ায়ও টিকে থাকতে সক্ষম, উচ্চ ফলনশীল বারি মুসুর-৮ ও বারি ছোলা-১০ জাতের উৎপাদন কার্যক্রম ও সম্প্রসারনের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুরের সদর উপজেলার বসু নরসিংহদিয়া মাঠে।
আঞ্চলিক ডাল গবেষনা কেন্দ্র, মাদারীপুরের প্রকল্প পরিচালক ড. ছালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, বারি মুসুর-৮ জাত আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ এবং বারি ছোলা-১০ জাতও পোকা প্রতিরোধী এবং তাপ সহিষ্ণু হওয়ায় প্রতিকুল আবহাওয়ায়ও টিকে থাকতে সক্ষম। এছাড়া দুটি জাতই উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবেন। তিনি বলেন, দেশের মোট চাহিদার মাত্র ৪০ ভাগ ডাল উৎপাদন হয়ে থাকে। বাকি ৬০ ভাগ আমদানী করতে হয়। তবে এই দুই জাত প্রচলিত দেশী জাতের জায়গায় স্থানান্তর করা গেলে আমদানী নির্ভরতা কমবে।
মাঠ দিবসে আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী’র পরিচালক ড. মো. মহি উদ্দিন, ফরিদপুর কৃষি স¤প্রনসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার সাহা, সরেজমিন গবেষনা বিভাগ, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হজরত আলী, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বরিশালের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন, ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শতাধিক কৃষান কৃষানী আগামীতে বারি মুসুর-৮ ও বারি ছোলা-১০ জাতের আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, বারি মসুর-৮ এর বৈশিষ্ট: জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ ও উচ্চফলনশীল (ফলন হেক্টর প্রতি ২০০০ থেকে ২১০০ কেজি যেখানে স্থানীয় জাতের ফলন ৮০০-১০০০ কেজি), মরিচা ও স্টেমফাইলিয়াম ব্লাইট (পাতা ঝলসানো) রোগ সহনশীল, নাবিতে বপন যোগ্য (নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত), আমিষের পরিমাণ ২৪.০ - ২৪.৯ %। জিংক এর পরিমাণ ৬০ পিপিএম। আয়রন এর পরিমাণ ৮০ পিপিএম।
বারি ছোলা-১০ এর বৈশিষ্ট: খরা ও তাপ সহনশীল, গাছ খাড়া প্রকৃতির তাই রোগ-বালাই আক্রমণ কম, ছোলার সবচেয়ে ক্ষতিকারক রোগ- বট্রাইটিস গ্রে মোল্ড রোগ সহনশীল, দেরিতে বপনযোগ্য (ডিসেম্বরের মাঝামাঝী পর্যন্ত), গাছে ফলের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি (৬৭-৭২টি) ও উচ্চ ফলনশীল (হেক্টর প্রতি ১৮০০-২০৩০ কেজি)।
সময় জার্নাল/ইএইচ