ইসাহাক আলী, নাটোর :
নাটোর জেলা কারাগারে ৭ ঘন্টার ব্যবধানে দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে আনছের আলী লালপুরের একটি হত্যা মামলার কয়েদি ও ওসমান শেখ একটি মাদক মামলার কয়েদি হিসাবে বন্দি ছিল। কারাগার কর্তৃপক্ষের দাবি অসুস্থ্যতা অনুভব করায় তাদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ময়না তদন্তের জন্য তাদের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নাটোর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদ হাসান জানান, আনছার আলীকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী নাটোরের লালপুর থানার একটি হত্যা মামলার আসামী হিসেবে কারাগারে আনা হয়। তার বিরুদ্ধে লালপুর থানায় ধারা ৩০২/২০১/৩৪ প্যানেল কোট এ মামলা রয়েছে। আনছের আলী পাবনা জেলার চক ভানুরা গ্রামের মৃত ভানুর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৫ মিনিটের দিকে তার বুকে ব্যাথা শুরু হলে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টা ৫৮ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে অপর কয়েদি ওসমান শেখের ১৪ মার্চ মাদক গ্রহণের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা হয়। ওই দিন থেকেই ওসমান নাটোর জেলা কারাগারে কয়েদি হিসেবে বন্দী ছিলেন। কয়েদি ওসমান গণি হেরোইন সেবী ছিল। তাকে কারাগারে আনার পর থেকে নেশার জন্য ছটফট করছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সে স্ট্রোক করে। অসুস্থ অবস্থায় রাতে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়। ওসমান শেখ নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া গ্রামের মৃত নুরু শেখের ছেলে এবং নাটোর জেলের কয়েদি নং ৬৯১২/৭ ।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডাঃ এম এ মোমিন জানান,আনছের আলীকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২৫ মিনিটের সময় বুকে ব্যাথা নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ৩টা ৫৮ মিনিটের সময় তিনি মারা যান। এছাড়া রাত ৮টার পর মৃত অবস্থায় কয়েদি ওসমান শেখকে আনা হয়। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ দুটি মর্গে রাখা হয়েছে।
সময় জার্নাল/ইএইচ