শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতিটি ঘর আলোকিত করা সরকারের একটি বড় সাফল্য : প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলবার, মার্চ ২২, ২০২২
প্রতিটি ঘর আলোকিত করা সরকারের একটি বড় সাফল্য : প্রধানমন্ত্রী

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারা সরকারের একটি বড় সাফল্য।


তিনি মঙ্গলবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য যে আমরা প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে তাঁর সরকার ইতোমধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। এখন একটাই লক্ষ্য দেশে কোন মানুষ আর গৃহহীণ বা ভূমিহীন থাকবে না।


শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার সচেষ্ট।
তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল (সোমবার) আমরা দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছি।


সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন ধরে সরকার পরিচালনা করায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা এ ধরনের সাফল্যের আরেকটি কারণ।
প্রধানমন্ত্রী বারবার তার দলকে ভোট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।


জনগণের কাছে তাঁর অঙ্গীকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।


বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তাঁর সরকারের বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি প্রদানের প্রসঙ্গ ও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট বেসরকারি খাতে নির্মিত প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ইউএস-ভিত্তিক এইএস (অ্যালাইড এনার্জি সিস্টেম) প্লান্ট গুলো স্থাপন করেছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ২০০১ সালে তাঁর দল ক্ষমতায় না আসায় পদক্ষেপ গুলো বাস্তবায়ন করা যায় নি।


’৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় দেশে মাত্র ১৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট করে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ১ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনতো বাড়াতেই পারেনি বরং কমিয়ে ফেলে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেখতে পান দেশের তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা কমে ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট হয়ে গেছে।


বিদ্যুৎকে শিল্পায়নের চালিকা শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেক চর এলাকায় নদী এবং সাগরের তলদেশ দিয়ে যেমন সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যেখানে গ্রিড লাইন নাই সেখানে সোলার প্যানেল দিয়ে যেমন বিদ্যুৎ দিয়েছি তেমনি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মূল বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যাতে সেখানে শিল্পায়ন হতে পারে। 


তিনি সন্দ্বীপের উদাহারণ টেনে বলেন সেখানে প্রথমে আমরা সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের পর সাবমেরিন কেবল দিয়েও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। চর কুকরী মুকরী, রাঙ্গাবালীতেও আমরা সেভাবে দেয়া শুরু করেছি।


এক সময় দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর, সেনানিবাস, সড়ক ও মহাসড়ক ইত্যাদি নির্মাণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের উন্নয়ন করেছে যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে।


প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এ অঞ্চলে সবাইকে বেশি করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার এবং কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরির আহ্বান জানান।


তিনি বলেন, প্রকৃতির প্রতিশোধ খুব কঠিন, কাজেই প্রকৃতি কীভাবে এটা করে সেটা আমি নিজের চোখেই দেখেছি বহুবার। তারপরও আমি বলবো মানুষের সুরক্ষার যে বিষয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি এবং গতকাল আমি বলেছি সবাই গাছ লাগাবেন। যে দায়িত্বটা আমাদের কৃষকলীগের ওপর ন্যস্ত থাকে তাদেরই উদ্যোগে আষাঢ় মাসে সারাদেশে বৃক্ষরোপন করা হয়।


তিনি বলেন, ১৯৮৪-৮৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি নেয়া হয়। যদিও সে সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের বিষয়টা তেমন ভাবে আলোচনায় ছিলনা। তারপরও তাঁর দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে দিয়ে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের যে পদক্ষেপ তারই অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কৃষকলীগের ওপর বর্তায়।


পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে এক সময়কার চরম দুর্দশাগ্রস্থ দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের জীবন মান আরো উন্নত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

সময় জার্নাল/ইএইচ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল