আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে ইমরান খাঁনের পদত্যাগের দাবিতে গত দু’বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। কিন্তু এতে খুব বেশি ফল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার (২৫ মার্চ) থেকে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শুরু হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন।
এই অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। শুক্রবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সচিবালয় জানিয়েছে- শুক্রবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় ১২টায়) স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে এই অধিবেশন বসবে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সচিবালয় থেকে জারি করা শুক্রবারের অধিবেশনের ১৫ দফা এজেন্ডায়ও অনাস্থা প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ডন বলছে, শুক্রবারের অধিবেশনের ১৫ দফা এজেন্ডাযর মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব থাকলেও ধরেই নেওয়া হচ্ছে যে, এমএনএ খায়াল জামানের মৃত্যুর কারণে অধিবেশনের প্রথম দিনে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে না। কারণ সংসদীয় রীতি অনুযায়ী, আইপ্রণেতার মৃত্যুর পরে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকটি মৃত সদস্যের জন্য প্রার্থনা এবং সহকর্মী আইনপ্রণেতাদের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
এছাড়া জাতীয় পরিষদের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের সূত্র উল্লেখ করে দ্য ডন জানিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আগামী ৩০ বা ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করতে পারেন। তবে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন স্থগিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ৮ মার্চ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিরোধী দলীয় এমপিরা অ্যাসেম্বলির সচিবালয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব জমা দেন। তাদের সেই প্রস্তাব আমলে নিয়ে ২৫ মার্চ অনাস্থা ভোটের দিন ধার্য করেছিলেন স্পিকার আসাদ কায়সার।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টারি নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশন শুরু হওয়ার তিন দিন পর থেকে সাত দিনের মধ্যে এই ভোটের আয়োজন করতে হবে।
এমআই