সর্বশেষ সংবাদ
ডা. আফতাব হোসেন :
দেরিতে হলেও বইমেলা শুরু হতে দেখে আর পাঁচজন লেখকের মতো আমিও খুব খুশ হয়েছিলাম। প্রতি বছরের মতো এবারও সারা মাস জুড়ে বইমেলায় হাজির থাকব, প্রিয় ভক্ত, পাঠকদের হাতে নতুন বই তুলে দেব, অটোগ্রাফ দিতে দিতে ক্যামেরা-বন্দি হব, স্মৃতির এলবামে সাজিয়ে রাখব সেই সব আনন্দঘন ক্ষণ। কিন্তু হঠাৎ করেই সব ওলট পালট হয়ে গেল !
প্রচণ্ড হিংস্রতা আর দোর্দণ্ড প্রতাপে উদ্বাহু নৃত্য শুরু করেছে করোনা। প্রতিদিনই ভাঙ্গছে সংক্রামণের অতীতের সব রেকর্ড। আবার দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। কেউ জানি না, কখন কোথায় যেয়ে থামবে প্রকৃতির এই আক্রোশ।
হাসপাতালে ঠাই নাই। ডাক্তারদের চোখে ঘুম নাই। অদৃশ্য এ শত্রুর মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এমতাবস্থায় আমাদের সুরক্ষা কিন্তু অনেকাংশেই আমাদের হাতে। আমরা কম বেশি সকলেই জানি, এই করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কী করা উচিৎ। অথচ মানছি না অনেকেই। আসুন সবাই মিলে সচেতন হই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
বাংলা একাডেমী বইমেলার সময় রাত ন’টার পরিবর্তে সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত করেছে। তার মানে কি সন্ধ্যার পরে মেলায় গেলে করোনায় ধরবে আর দিনের আলোয় ধরবে না ? নাকি সন্ধ্যার পরে পাঠক, ক্রেতা সমাগম বেশি হয় বলে সন্ধ্যার আগেই মেলার দুয়ার বন্ধ করে দেয়া হল ? করোনা সংক্রামণ এড়াতে জনসমাগম এড়িয়ে চলাকে একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি সঠিক পদক্ষেপ মনে করি। কিন্তু সেক্ষেত্রে মেলা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়াটাই কি বেশি যুক্তিপূর্ণ হত না ? অন্তত প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে ক্রেতা বিহীন মেলায় বসে মাছি মারতে হবে না। অহেতুক স্টল ভাড়া আর কর্মচারীর বেতন গুনতে হবে না। তাছাড়া চৈত্রের এই ঠা ঠা রৌদ্রে ঘোরাঘুরি করলে করোনায় না ধরলেও যে কোনো সময় হিট স্ট্রোক তো হতেই পারে !
আমি জানি, বইকে যারা ভালোবাসো, নতুন বইয়ের ঘ্রাণে যারা মাতাল হও, তারা হয়ত সব ঝুঁকি উপেক্ষা করে এরপরেও মেলায় আসবে বা আসতে চাইবে। তাদের বলছি, এবার নাহয় মেলায় আর নাইবা আসলে ! নিজেদের কিংবা ঘরে প্রিয়জনদের আর নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে নাইবা ফেললে। নতুন বই তো ঘরে বসেও পাওয়া যায়। প্রকাশিত প্রায় সব বই এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। সামান্য ডাকমাশুলের বিনিময়ে প্রিয় বইটি পৌঁছে যাবে তোমাদের হাতে। যারা প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ সহ বই পেতে চাও, তারা লেখকের সাথে যোগাযোগ করেও দেখতে পারো।
এসো, মহামারির এই দুঃসময়ে একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে না যাই। বাইরে গেলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
এসো এবার ঘরে বসেই বই কিনি। ঘরে বসেই বই পড়ি।
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল