বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে

মঙ্গলবার, এপ্রিল ৫, ২০২২
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েকটি নিত্যপণ্যের টিসিবিমূল্য এবং বর্তমান ও পূর্বের বাজারমূল্যের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এ সময় নিত্যপণের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, টিসিবির পণ্যবিক্রি কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের কার্যক্রমের ফলে দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করি।

তিনি কয়েকটি পণ্যের টিসিবির মূল্য এবং বর্তমান ও পূর্বের বাজারমূল্যের তুলনামূলক একটি চিত্র তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য মতে, গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের এক লিটার ক্যানের বাজারমূল্য ছিল ১৭০ টাকা, ৫ এপ্রিল এর মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা এবং পাম ওয়েল লিটার প্রতি ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি প্রতি লিটার সয়াবিনের ক্যান বিক্রি করেছে ১১০ টাকা করে।

মশুর ডালের কেজি ১ মার্চের ১২০ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময় টিসিবি বিক্রি করছে ৬৫ টাকা কেজি। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১ মার্চের ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭৮ টাকা হয়েছে। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে কেজি ৫৫ টাকা। ছোলা কেজিপ্রতি ১ মার্চের ৭৭ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় এসেছে। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করেছে কেজি ৫০ টাকায়। পেঁয়াজ ১ মার্চের ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৩১ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।

নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। এটি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পগুলোর একটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে সংসদকে জানান তিনি।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ করোনা টিকা সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮টি প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬টি দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

টিকার মূল্য সংক্রান্ত ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন (আলোচনা) করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলক কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।

সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ জন কর্মী বিদেশ গিয়েছে। করোনা অতিমারির সময়েও ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৫ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছেন।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন এবং ওই আইনের আওতায় একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল