এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
কৃষক এতো কষ্ট করে, যে ঝুকি নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করে ও পেয়াজের বীজের চাষ করেন। তাই কৃষক কে বাঁচাতে হবে এবং কৃষিকে বাঁচাতে হবে। উৎপাদন মৌসমে যাতে আমদানী বন্ধ করা যায়। সে জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করছি বলে জানান কৃষি মন্ত্রী আ: রাজ্জাক। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুরে কৃষি উদ্যোক্তা শাহিদা বেগমের পেঁয়াজ ক্ষেত পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় পেঁয়াজ বীজের ক্ষেত পরির্দশনে আসেন।
এসময় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ মন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা এবং গার্ড অব অর্নার দেন। পেয়াজ বীজের সফল উদ্যোক্তা শাহিদা বেগমসহ কৃষি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে মন্ত্রী শাহিদা বেগমের পেয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন ও হারভেস্ট কাজের উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, এধরনের সফল উদ্যোক্তাদের পাশে আমরা দাড়াতে চাই। তাদের মত হাজারো শাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। বিনা সুদে ঋনসহ সরকারের সব রকম সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগীতার জন্য এই সরকার কাজ করছে। পেয়াজ ও বীজে যাতে ন্যয্য মূল্য চাষীরা পান সে বিষয়ে আমার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছি। এই সুফল পাবেন বলেও মন্ত্রী জানান। এছাড়া এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ বীজ হারভেস্টিং এর জন্য আধুনিক যন্ত্র আমদানীর উদ্যোগ নিবো যাতে চাষীরা তাদের এই ঝুকিপূর্ন ফসলটি নিরাপদে ঘরে তুলতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ৫৩ প্রকারের আধুনিক যন্ত্র কৃষিতে ব্যবহার হচ্ছে। আগামীতে আমার সকল ফসলই আধুনিক যন্ত্রের আওয়তায় আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৃষি অধিদপ্তর ফরিদপুরের উদ্যোগে পেয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুর সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামানসহ জেলার কৃষি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী এসময় উপস্থিত ছিল।
সময় জার্নাল/এলআর