এম পলাশ শরীফ বাগেরহাট: মোংলার বকুলতলায় চিংড়ি ঘের দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহতের ঘটনায় এপর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ঘটনার দুদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে হত্যাকাণ্ডের মামলা নেয় পুলিশ। চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ শেখকে প্রধান করে ২১ জনকে আসামি দিয়ে মামলা করেন নিহতের ভাই মোঃ কাদের সরদার।
গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে ইউপি মেম্বর আব্দুল্লাহ শেখ গংয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাদের সরদারের ভাই মোতাহার সরদার মারা যান। এঘটানায় আরও ছয়জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে একটি চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বর) আব্দুল্লাহ শেখের সাথে স্থানীয় মোতাহার সরদারসহ কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিংড়ি ঘেরটি দখল নিতে এসে আব্দুল্লাহ গং ওই ঘেরে থাকা মোতাহার সরদারসহ তার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা লাঠিসোটা, রড, রামদা ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মোতাহার সরদার, শুকুর আলী শেখ, আলাউদ্দিন শেখ, রিয়াজুল শেখ, অহিদুল শেখ, তৌহিদুল শেখ ও তানজু শেখকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন।
পরে ওদিন রাতেই আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খুলনা মেডিকেলে নেয়ার পর রাত ১০টার দিকে মোতাহার সরদারের (৪২) মৃত্যু হয়।
ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, এঘটনায় নিহতের ভাই কাদের সরদার ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ শেখকে প্রধান আসামি দিয়ে ২১ জনের নামসহ আরও ১০/১৫ জন অজ্ঞাত আসামির নামে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মোংলা থানায় মামলা করেন। এরপরই এ মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হচ্ছেন সোনাইলতলা ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে আঃ হালিম শেখ (৩৭), মান্নান হাওলাদারের ছেলে হোসাইন হাওলাদার (২০), সরোয়ার শেখের ছেলে আসমাউল শেখ (২০), হাফিজুর হাওলাদারের ছেলে রুবেল হাওলাদার (২৭) ও হাসেম শেখের ছেলে সরোয়ার শেখ। এদিন দুপুরেই তাদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি মনিরুল।
এমআই