মো. মাইদুল ইসলাম:
অধ্যক্ষ তার কাজ দফায় দফায় মিটিং করা, প্রসাশনিক কার্যক্রম সামলানো। অধ্যাপক, প্রভাষকদের কাজ ক্লাসে লেকচার দেয়া। তাদের বাহিরে অন্য কাজে সচারচার দেখা যায় না বা ভাবা যায় না। তবে এর বাহিরে ব্যতিক্রমী এক কার্যক্রমে দেখা গেছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ও চার শিক্ষিকা এবং রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে।
(১১ এপ্রিল) নবতরঙ্গ নামের পেজের শুরুর যাত্রায় বৈশাখী কালেকশানের মডেল হিসেবে দেখা গেছে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তালাত সুলতানা, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মালেকা আক্তার বানু, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা মুক্তা ও রসায়ন বিভাগের প্রভাষক কাজী হাসনাত জাহান এবং রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আবেদা সুলতানাকে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর তালাত সুলতানা
অধ্যক্ষ-শিক্ষকদের এমন ব্যতিক্রমী কার্যক্রমে বেশ সাড়া পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে। এমন উদ্যেগকে স্বাগতম জানিয়ে প্রশংসা করছেন।
অধ্যাপক মালেকা আক্তার বানু
এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা মুক্তা বলেন, আমি এই উদ্যোগকে প্রশংসা করছি। এটিকে মুক্ত চিন্তার ধারক হিসেবে আমি দেখছি। নবতরঙ্গ তারা যে ব্যতিক্রমী কাজটি করেছে বিশেষ করে শিক্ষকদের দিয়ে তাদের যাত্রাটা শুরু করল সেটি সত্যিই আশাব্যঞ্জক। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ও এ কাজে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
অধ্যক্ষ ড. আবেদা সুলতানা ও সহযোগী অধ্যাপক সালমা মুক্তা
তিনি আরও বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ কিন্তু এধরণের কাজের মাধ্যমেই ঘটে এবং যত সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার কাজে বিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার প্রসারতা আসবে ততই সমাজ থেকে কলুষতা, নেতিবাচকতা দূরীভূত হবে। এধরণের কাজ সবসময় করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এটা প্রকাশ হওয়ার পর এই নতুনত্বে একটা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর অনেক সহকর্মীরা পরবর্তীতে এ ধরণের কাজে অংশগ্রহণ করতে চায়।
অধ্যক্ষ প্রফেসর তালাত সুলতানা ও প্রভাষক কাজী হাসনাত জাহান
স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মডেল হিসেবে শিক্ষকদের কেন বেছে নিলেন জানতে চাইলে নবতরঙ্গের স্বত্বাধিকারী ওয়ালিউল্লাহ তুহিন বলেন, প্রথমেই বলতে চাই শিল্প সংস্কৃতি কোন বয়স ধর্ম-বর্ণ জাতের ভিতরে সীমাবদ্ধ নয়। মডেলিং ও তদ্রুপ। তথাকথিত সবাই তরুণ-তরুণী নিয়েই কাজ করে। তবে আমি যে স্রোতের বিপরীতে। একজন তরুণী মডেলিং পারলে একজন ৫০/৬০ উর্ধ্ব নারী কেনো পারবে না। আমি এটা করে দেখিয়েছি।
আমি একজন মঞ্চশিল্পী। কেনো জানিনা আমার মডেলিং এর উপর একটা আলাদা ভালোবাসা কাজ করতো। আমার একটা ব্রান্ড হবে। একদল স্বপ্নবাজ তরুণ তরুণী আমার ব্রান্ডে মডেলিং এর কাজ করবে এটা অনেক আগে থেকেই আমার স্বপ্ন ছিলো।হঠাৎ মাথায় আসলো যাত্রার শুরুতে আমার গুরুজনদের নিয়েই শুরু করি।
শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারটা কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা প্রত্যেকে অনেক দক্ষ। কাজে সমস্যায় পরার তো প্রশ্নই আসে না। উলটো আমি তাদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
আর প্রফেসররাও এভাবে তারুণ্যের কাজ মডেলিং করতে পারে মানুষ বোধহয় এই প্রথম দেখেছে। সবাই পজেটিভ নিয়েছে।আর নতুন হিসেবে আলহামদুলিল্লাহ সবার সাড়াতে আমি তৃপ্ত।
এমআই