আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমরান খান সরকারের পতন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফ ক্ষমতা গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভা গঠিত হয়নি। অথচ ধারণা করা হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক বা দুদিনের মধ্যেই মন্ত্রীরা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কিন্তু বিশাল জোটের শরিকদের মধ্যে নানা হিসাব-নিকাশের কারণে এখনো সমঝোতা হয়নি।
তবে শোনা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে একটি সমঝোতা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ ব্যাপারে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) আসিফ আলী জারদারি ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সম্মতিও আদায় করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান সমঝোতা অনুযায়ী পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) মন্ত্রিসভায় পাবে ১২টি পদ, পিপিপি পাবে সাতটি। এছাড়া জেইউআই-এফ তিনটি, বিএপি ও বিএনপি-এম পাবে দুটি করে।
সূত্র অনুযায়ী, রাজা পারভেজ আশরাপ হবেন পার্লামেন্টের স্পিকার। তিনি ইমরান খানের দল টিপিআইয়ের পদত্যাগকারী আসাদ কায়সারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আর জেইউআই-এফ পাবে ডেপুটি স্পিকারের পদটি। বর্তমান ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাবের মুখে রয়েছেন।
এমকিউএম-পি পাঞ্জাবের গভর্নরশিপ পাবে, পিপিপি পাবে পাঞ্জাবের, জেইউআই-এফ পাবে খায়বার পাকতুনখাওয়া প্রদেশের, বিএনপি-এম পাবে বেলুচিস্তান প্রদেশের গভর্নরশিপ।
এদিকে পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিব বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তার দলের পদত্যাগকারী ১২৩ আইনপ্রণেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলেও এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন এই সাবেক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পিটিআই আইনপ্রণেতাদের পদত্যাগ গ্রহণের ফলে এখন দেশে সাধারণ নির্বাচন অনিবার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তান পার্লামেন্টে ২৭২ সদস্যের মধ্যে পিটিআইয়ের ছিল ১৫৫ জন সদস্য। এদের মধ্যে ২০ জন বিদ্রোহ করেছেন। তাদেরকে দলের পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট ১২ জন আইনপ্রণেতার অবস্থান স্পষ্ট নয়।
সময় জার্নাল/এলআর