মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি:
সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (কুবি) বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) কালো তালিকাভুক্ত করেছে এমন সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। তবে এ তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য এবং প্রচারিত এই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেছ-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এক প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইউসিএ। যুক্তরাজ্যের কমিউনিটি ভিত্তিক একটি গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তথ্যগুলো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। শুধু বাংলা ও ইংরেজি নামে কুমিল্লা শব্দটি থাকার কারণে মিডিয়াগুলো কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই আমাদের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্তির খবর প্রচার করেছে, যা খুবই নিন্দনীয় ও মানহানিকর।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা ও কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এই দুটি ছাড়া বাকি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউজিসি ইতোমধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
বিজ্ঞপ্তির পরিশেষে বলা হয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ বিশ্বের নানা দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। এছাড়া খোদ ইউসিএতে কুবি শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কোনো সদস্যকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। তাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীদের এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।