মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
জেলার কবিরহাট উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাতের আধারে রিলিফের ৪০ বস্তা চাল উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাজায়, ইউনিয়ন পরিষদে রিলিফের ৪২০ বস্তা চাল গোডাউন থেকে নিয়ে আসা হয় শুক্রবার, তবে দুইদিন পরে জানানো হয় পরিষদে চাল আছে ৩৮০ বস্তা। সকালে এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের পাহারাদার গ্রাম পুলিশ মো. হারুনকে আটক করেন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনতা।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীনের যোগসাজশে তার লোকজন পাহারাদারকে দিয়ে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সরিয়ে নিয়েছেন। এখন বিষয়টি জানাজানি হলে পাহারাদারের ওপর দোষ চাপিয়ে তারা বাঁচতে চাচ্ছেন।
চৌকিদার হারুন বলেন, আমাকে পরিষদ থেকে সরানোর জন্য এমন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, গত দশ বছর যাবৎ আমি চাউল আনা নেওয়া করে থাকি। তিনি আরো বলেন, আমি মিজান চেয়ারম্যানের ভোট করার কারনে তারা চাল সরিয়ে আমার উপর চালিয়ে দিচ্ছেন।
৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি সকালে জানাজানির পর আমরা ক্ষতিয়ে দেখতেছি, এবং তিনি সরাসরি চৌকিদারকে দ্বায়ী করে বলেন এটা চৌকিদারের কাজ। এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত যেই হোক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর