সময় জার্নাল প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে সারা দেশ। এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দোকানিরা জানান, বিকেল ৩টার পর থেকে দোকানে ক্রেতা সমাগম বাড়তে শুরু করে। অনেকেই ১০ থেকে ১৫ দিনের বাজার একবারে সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরছেন। এসব বাজারে সাধারণত দুপুর ১টার পরে ভিড় দেখা যায় না। তবে আজ লকডাউন আসছে— এমন খবরে দুপুরের পর থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। সময় যত যাচ্ছে ক্রেতারা তত ভিড় জমাচ্ছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গুটি চাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মোটা ডাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন মিলছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগ বাজারে কথা হয় চাকরিজীবী আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে থেকেই রমজান মাসের জন্য বাজার করার পরিকল্পনা ছিল। আজ ৫ তারিখ থেকে লকডাউন দিতে পারে জানতে পেরে দ্রুত বাজারে আসতে হলো। লকডাউনের কারণে যদি দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারব না।
এদিকে ফার্মেসি ও বিভিন্ন দোকানে বেড়েছে হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা। বেড়েছে মাস্কের চাহিদাও। লকডাউন ঘোষণার পর ফুটপাত থেকে মার্কেট সব জায়গায়ই মাস্ক কিনতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। এ সুযোগে বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। সকালে পাঁচটি সার্জিক্যাল মাস্ক ১০টাকায় বিক্রি হলেও এখন একটি মাস্কের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০টাকা।
সময় জার্নাল/এমআই