আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের কিয়েভ অঞ্চলে এক হাজার ১৫০ জন বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ মরদেহে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া বুলেটের আঘাতের জখম রয়েছে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে কিয়েভ পুলিশের এক ভিডিও বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কিয়েভের আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান আন্দ্রি নেবিতোভ বলেছেন, বেশিরভাগ মরদেহ পাওয়া গেছে বুচা শহরে। রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের পর এই শহরে শত শত মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ইউক্রেন বলছে, বুচায় মৃত অবস্থায় পাওয়া বেসামরিক লোকজনকে শহরটি দখলের সময় রুশ বাহিনী হত্যা করেছিল। বুচায় মৃত মানুষের সংখ্যা অথবা কোন পরিস্থিতিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, বুচা শহরটি দখলের সময় রাশিয়ান সৈন্যরা বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করেছিল বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ‘ভয়াবহ মিথ্যাচার।’ যার উদ্দেশ্য রুশ সেনাবাহিনীকে হেয় করা।
কিয়েভ অঞ্চলে তীব্র যুদ্ধের সময় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের স্তূপে দাঁড়িয়ে ভিডিও বার্তায় নেবিতোভ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কিয়েভে ১ হাজার ১৫০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছি। এসব মরদেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ফরেনসিক প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করেছি।
তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিতে চাই যে তারা বেসামরিক নাগরিক, সামরিক নয়।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সাথে কিয়েভে যেদিন আলোচনা করার কথা ছিল, সেদিন ভিডিওটি টুইট করেছেন পুলিশ প্রধান আন্দ্রি নেবিতোভ।
ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে দেখা যায়, জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বোরোদিয়াঙ্কা শহর পরিদর্শন করছেন। পার্শ্ববর্তী বুচা শহরের তুলনায় সেখানকার পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়ঙ্কর বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
এমআই