বুধবার, ০১ মে ২০২৪

ঢাকার ২৬ এতিমখানায় ঈদ উপহার দিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন

শুক্রবার, এপ্রিল ২৯, ২০২২
ঢাকার ২৬ এতিমখানায় ঈদ উপহার দিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি- কথাটি যেমন চিরন্তন সত্য, তেমনই সত্য ছিন্নমূল, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আসে না ঈদের আনন্দ। তাদের ঘরে খাবার থাকে না, নতুন জামা কাপড় কেনার সামর্থ্যও থাকে না। পবিত্র ঈদ তাদের সামনে দিয়ে চলে যায় মলিন ও নিরানন্দভাবে। 

রাজধানীতে অনেক মানুষ আছেন যাদের ঈদের প্রস্তুতি বা আনন্দ বলে কিছু থাকে না। অনেক এতিমখানা রয়েছে যেখানে আশ্রিতদের নেই কোনো পিতৃমাতৃ পরিচয়। ঈদে নতুন জামা জামা-কাপড় মিলবে কিনা সেই সম্ভাবনাও তাদের সামনে নেই। পিতামাতার সংস্পর্শবিহীন এইসব শিশু আর অসহায় মানুষদের কথা ভুলে যাননি ঢাকা- ১৭ আসনে মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিত মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও  মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন। ১৯৭১ সালে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। আজও তিনি পরম মমতায় গিয়ে দাঁড়ান এতিম ও দরিদ্রদের পাশে। প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছেন অসহায় মানুষের জন্য। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন এবার ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-১৭ আসনের বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্রদের সহায়তা করেছেন। তিনি বিতরণ করেছেন নগদ অর্থ ও নতুন কাপড়। প্রায় দুই হাজার একশ পরিবার এবং ২৬টি মাদরাসা ও এতিমখানায় শিশুরা তার কাছ থেকে এবার ঈদ উপহার পেয়েছে। এই উপহার পেয়ে এতিম শিশু ও  দরিদ্রদের মুখে হাসি ফুটেছে। 

গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার মোট ২৬টি মাদরাসায় ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দান করেছেন তিনি।

ঢাকা ১৭ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজার শাড়ি এবং লুঙ্গি বিতরণ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন। তার এই সহায়তা পেয়ে ৬২ বছর বয়সি আজিজুল মিয়া আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। আনন্দ কম্পিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ঈদে কামাই রোজগার নেই। বউডারেও কিছু দিবার পারি নাই। এক্কান শাড়ি দিয়ে আমগো ওয়াকিল সাব। এর আগেও করোনার সময় ম্যালা কিছু দিছে। আল্লাই ওনার মঙ্গল করুক।’ করোনার ভয়াল থাবায় ভ্যানচালক আজিজুলের অভাব অনটনের সংসারে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এখন রিকশা চালিয়ে কোনো রকম দিন পার করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনের আর্থিক সহায়তা পেয়ে তিনিও পেলেন স্বস্তি। জীর্ণ দেহে পুরোনো একটি শাড়ি জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাজেরা বেগম বলেন, ওয়াকিল উদ্দিন সাহেবের দীর্ঘ জীবন কামনা করছি। 

খানকাশরীফ হামিদিয়া নূরানী মাদরাসায় পড়ে এতিম শিশু আবদুর রহমান। ছোটবেলায় বাবা মাকে হারিয়ে এই এতিমখানায় বড় হচ্ছে সে। ঈদের আনন্দের আমেজ ছিল না তার মাঝে। একটা নতুন পাঞ্জাবির শখ ছিল তার। ঈদে নতুন পাঞ্জাবি পরে নামাজ পরবে সে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সুযোগ ছিল না। তার এই হতাশার মাঝে আলো এনে দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন। আর্থিক সহায়তা পেয়ে আবদুর রহমান বলেন, বড় হুজুর কইছেন এই মাদরাসার সবাইরে ওয়াকিল স্যারের টাকায় নতুন পাঞ্জাবি কিনা দিবেন।
 
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন বলেন, মুসলিম জাহান সিয়াম সাধনা এবং ত্যাগের মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে। অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার অঙ্গীকারে প্রত্যয়ী হওয়ার এক সফল অনুষ্ঠান এই পবিত্র ঈদ। এ উৎসব আমাদের একতাবদ্ধ ও মহৎ হতে শেখায়। ঈদের আনন্দ দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে ভাগ করার মাঝেই সর্বাঙ্গীন কল্যাণ। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অনেক পরিবারে ঈদের আনন্দ আসে না। তাই আমার ঈদের আনন্দ আমি তাদের সাথে ভাগ করে নিতে চেয়েছি মাত্র। আমি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল