স্পোর্টস ডেস্ক : সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে হওয়া জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে হতাশ করেছিলেন অ্যাথলেটরা। টাইমিংয়ে সবারই অবনমন হয়েছিল। চার মাসের ব্যবধানে টাইমিংয়ে উন্নতি হয়েছে অ্যাথলেটদের। বিশেষ করে অ্যাথলেটিকসের আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্টে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ে ভালো টাইমিং করেছেন বাংলাদেশ গেমসে প্রথমবারের মতো দ্রুততম মানব হওয়া ইসমাইল হোসেন ও মানবী হওয়া শিরিন আক্তার।
সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়া ইসমাইলের দৌড় শেষ করতে সময় লেগেছিল ১০.৫৫ সেকেন্ড। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হওয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ অ্যাথলেটের সময় লেগেছে ১০.৫০ সেকেন্ড। অর্থাৎ আগের চেয়ে ০০.০৫ সেকেন্ড কমে দৌড় শেষ করেছেন তিনি। একই দৃশ্য শিরিন আক্তারেরও। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নিয়েছিলেন ১১.৮০ সেকেন্ড। এবার গেমসে তার উন্নতি চোখে পড়ার মতো। ১০০ মিটার দৌড় শেষ করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ অ্যাথলেটের সময় লেগেছে ১১.৬০ সেকেন্ড। তিনিও ০০.২০ সেকেন্ড কম সময় নিয়েছেন।
২০১৩ সালে অষ্টম বাংলাদেশ গেমসেও খেলেছিলেন ইসমাইল ও শিরিন। আট বছর আগে অনুষ্ঠিত গেমসে ইসমাইল লং জাম্পে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। গেমসে প্রথমবার; সব মিলিয়ে চতুর্থ স্বর্ণ ইসমাইলের, 'করোনা মহামারির মধ্যে এই পারফরম্যান্সে আমি খুশি। কম প্র্যাকটিস করেও দ্রুততম মানব হতে পেরেছি, এটাতে আমি তৃপ্তি। তবে অলিম্পিকের আগে আমি চাই দীর্ঘমেয়াদি ট্রেনিং।' মেয়েদের স্প্রিন্টে টানা ১২ বারের মতো সেরা হওয়া শিরিনও শেষ বাংলাদেশ গেমসে বিউটির কাছে হেরেছিলেন। এবার সোনালি হাসির আনন্দ তার, 'আমি খুব ভালো অনুভব করছি। কারণ এটা আমার প্রথম বাংলাদেশ গেমসে গোল্ড পাওয়া।'
নারী হার্ডলসে আবারও সেরা হয়েছেন তামান্না আক্তার। মেয়েদের ১০০ মিটার হার্ডলসে ১৪.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন নৌবাহিনীর এ অ্যাথলেট। তিনি পেছনে ফেলেন ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে সুমিতা রানীর ১৫.২৬ টাইমিংকেও। এই ইভেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ জেলের সুমিতা। কিন্তু দৌড় শুরু করার পর পায়ে আঘাত পেয়ে সরে দাঁড়ান। ১১০ মিটার হার্ডলসে ছেলেদের ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছেন নৌবাহিনীর এম মাসুদ খান। ১৪.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জিতে ট্র্যাক থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এই হার্ডলার।