গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আজ ( ৭ মে ) শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মানাধীন বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি সরেজমিনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প। জলবায়ু উদ্বাস্ত ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন ৩৮০৮টি পরিবারের পুনর্বাসনসহ এই জনগোষ্ঠির দারিদ্রতা হ্রাসের লক্ষ্যে আয়ের পথ উন্মুক্ত করা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে পাইলিং ফাউন্ডেশন দিয়ে ১৩৯টি ৫ তলা ভবন নির্মাণ অন্যতম। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয়, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, খেলার মাঠ এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ বিবিধ সুবিধাদি নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দুপুর ১২ টা নাগাদ সেনাপ্রধান খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে পৌঁছালে প্রকল্পোর সার্বিক চিত্র তোলে ধরেন ৩৪ কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রডিয়ার জেনারেল মাসুদুর রহমান। এসময় সেনাপ্রধান বলেন,ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এসময় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল ফখরুল আহসানসহ উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমান বন্দর সম্প্রসারণের কারণে শহরের সমিতি পাড়া ও কুতুবদিয়া এলাকায় আশ্রয় নেয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এ প্রকল্পের ব্য ধরা হয়েছে ১৩ শ ৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যেখানে স্থায়ী মাথা গোজার ঠাঁই পাবে জলবায়ু উদ্বাস্তু ৩ হাজার ৮শ ৮ টি পরিবার। প্রকল্পে থাকবে ১৩৯ টি পাঁচতলা ভবন,যার মধ্যে তৈরী হওয়া ২০ টি ভবনে ৬০০ পরিবারকে ২০২০ সালে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে একটি করে ফ্ল্যাট। বাকী ১১৯ টি ভবন নির্মানের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন সেনা প্রধান।
সময় জার্নাল/এলআর