আঁকিবুঁকি
সেদিনের রোদটুকু চড়া হতে দেখি
কবিতার খাতাজুড়ে শুধু আঁকিবুঁকি,
ফোকলা দাঁতের ফাঁকে হেসে ওঠে খুকি,
এই দ্যাখো, বানিয়েছি মস্ত আকাশ।
মাত্র কালকে রাতে তৈরি সে ছড়া
খুকির কালির ঘায়ে খায় গড়গড়া,
মাথায় উঠলো ত্রাসে সকালের পড়া,
শোকের মাতমে বুকে বদ্ধ বাতাস।
সাগ্রহে বলছে সে, এই যে মা দ্যাখো,
নদীটার ওইপারে নড়বড়ে সাঁকো,
তারই এইপাশে, এসো, হাত দিয়ে ঢাকো,
ওই দ্যাখো, তালগাছে মামদোর বাস।
গতকাল রাতে ছিলো ঝিরিঝিরি হাওয়া,
চাঁদ ছিলো ঢলঢল পূর্ণিমা ছাওয়া,
রাত জেগে খাতাজুড়ে তারই গান গাওয়া,
খুকির কলমে ঘেঁটে করছে হুতাশ।
বড়ো বড়ো চোখ নেড়ে দারুণ আবেগে
ছবিটার আগামাথা বলে গেলো বেগে,
মনে হলো বুকে যেন ফুটলো সবেগে
একঝুড়ি পটকার দ্রিমদ্রিম ঠাস্।
কোথায় আকাশ আর কোথায় বা নদী?
থোকা থোকা কালি ঢেলে ছড়ার সমাধি,
খুকির খুশিতে মনে সান্তনা বাঁধি
মাতৃত্বের মহা আহ্লাদী শ্বাস।
শেখ ফাহমিদা নাজনীন
৯ মে ২০২২