স্পোর্টস ডেস্ক:
উলভসের বিপক্ষে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে পা হড়কানোর একটা ধাত ছিল ম্যানচেস্টার সিটির। শিরোপার দৌড়ে সিটির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুল সমর্থকরা হয়ত সেই ক্ষীণ আশা আঁকড়ে ধরেই ম্যাচটি দেখতে বসেছিলেন। তবে তাদের একাই হতাশ করে সিটি সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। ম্যাচে এই বেলজিয়ান উইঙ্গার চার গোল করেছেন, আর তাতেই সিটি ৫-১ গোলে উলভসকে উড়িয়ে শিরোপার হাতছোঁয়া দূরত্বে চলে এসেছে।
বিদ্যুৎগতির শুরুতে ম্যাচের মাত্র সাত মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। মধ্যমাঠে পজেশন দখল করে বের্নার্দো সিলভার দিকে বাড়ান ডি ব্রুইনা, সিলভার থেকে ফিরতি বলে পেয়ে এরপর প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান এই বেলজিয়ান।
সিটি এগিয়ে যাওয়ার মিনিট চারেক পরেই অবশ্য ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল স্বাগতিক উলভস। গতিময় এক প্রতি আক্রমণ থেকে দলকে সমতায় নিয়ে আসেন আরেক বেলজিয়ান লিয়ান্ডার ডেনডঙ্কার।
উলভস সমতায় পাঁচ মিনিট আবার ডি ব্রুইনা হানা দেন দলটির গোলমুখে, দলটির গোলরক্ষক জোসে সা স্টারলিংকে ঠেকাতে পারলেও ডি ব্রুইনার ফিরতি শট রুখতে পারেননি।
২৪ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বেলজিয়ান জাদুকর। অসাধারন বাঁকানো শটে উলভসের রক্ষণ এবং গোলরক্ষককে একাই বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন তিনি। হ্যাটট্রিকের পথে তিনটি গোলই করেছেন নিজের ‘দুর্বল’ বাঁ পায়ের সাহায্যে।
৬০ মিনিটে তার করা নিজের এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেছেন ডান পা দিয়ে। ফিল ফোডেনের কাছ থেকে পাস পেয়ে নিচু শটে উলভস গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। ডি ব্রুইনার আগে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ম্যাচ শেষের আধঘণ্টা আগে চার বা তার বেশি গোল করেছেন মোটে দুইজন খেলোয়াড়।
৮৪ মিনিটে উলভসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন রহিম স্টারলিং। আর প্রিমিয়ার লিগে এক অনন্য রেকর্ডের পত্তন করে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। লিগের ইতিহাসে কখনোই কোন দল টানা পাঁচ ম্যাচ তিন বা তার বেশি গোল করে জেতেনি। গার্দিওলার সিটি সেটাই করে দেখিয়েছে।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ দল সিটি দুইয়ে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে তিন পয়েন্টের ব্যবধান বজায় রেখেছে। চলতি মৌসুমে লিগে সিটির শেষ দুই ম্যাচ যথাক্রমে ওয়েস্ট হাম ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে।
এমআই