শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আরও পাঁচ দিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে

শুক্রবার, মে ২০, ২০২২
আরও পাঁচ দিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকঃ

আরও পাঁচ দিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে। ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করা বন্যার পানি নেমে আগের অবস্থায় ফিরবে সিলেট নগরীর চিত্র। তবে সিলেটবাসী যেন আর এরকম বন্যার পরিস্থিতির শিকার না হন সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শনিবার (২১ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর (পুর) দপ্তরের সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পুর) এস এম শহিদুল ইসলাম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বন্যার পানি কমছে। ফলে সিলেটে আর বন্যা পরিস্থিতি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আরও পাঁচ দিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে। বন্যায় যেখানে যেখানে বাঁধ ভেঙেছে সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে আবার নতুন করে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে।’

এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে যে নদী ও খালগুলো আছে, সেগুলো ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ড্রেজিং করার লক্ষ্যে আমরা এখানকার নদীগুলো নিয়ে স্টাডি করছি। সিলেটের সুরমা নদীর গতিপথ ঠিক থাকলেও এর ড্রেজিং করতে হবে। এ লক্ষ্যে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এখনো প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন হয়নি, তবে ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে।’ সুরমা নদীর ড্রেজিং হয়ে গেলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি কমে যাবে বলে জানান তিনি।

 জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে সিলেট নগরের প্রায় কয়েক লাখ মানুষ। বন্যার পরপরই অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে, অনেকে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। বন্যার পানিতে অনেকে হারিয়েছেন গৃহস্থালির মূল্যবান আসবাবপত্র। এছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করলেও বন্যার কারণে পানিবাহিত নানা অসুখে পড়েছেন অনেকে। নগরের ১২টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে যাওয়া ডায়রিয়া, চর্মরোগ, জ্বর ও সর্দি-কাশির ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যাকবলিত জনসাধারণ।

এর বাইরেও বন্যার পানিতে সিলেট নগরের মেন্দিবাগ এলাকায় অবস্থিত সিটি কর্পোরেশনের পানি বিশুদ্ধকরণ (ওয়াটার ট্রিটমেন্ট) প্ল্যান্টটি তলিয়ে গেছে। ওই প্ল্যান্ট থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আরও চারটি পাম্প তলিয়ে যাওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় নগরের কিছু এলাকার পানিবন্দি মানুষ বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন।

গত ১০ মে থেকে সিলেটে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সেই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। ফলে ১১ মে থেকেই সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে থাকে। আর গত ১৩ মে থেকে সিলেট নগর প্লাবিত হতে থাকে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেটের ১৩টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ৩২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল