বড় হারে শুরু
বাংলাদেশের
বাজে বোলিংয়ের পর
ব্যাটিংয়েও অনুজ্জ্বল বাংলাদেশ।
তাতে
বড়
হার
দিয়ে
টি-টোয়েন্টি
সিরিজ
শুরু
করল
বাংলাদেশ।
তামিম ইকবালের গোল্ডেন
ডাকে
শুরু
থেকেই
উল্টো
পথে
যায়
বাংলাদেশ।
লিটন
দাস
ও
মুশফিকুর
রহিমের
ব্যাটে
কিছুটা
সময়ের
জন্য
ম্যাচে
ফেরে
তারা।
মাঝখানে
লড়াই
করেন
মাহমুদউল্লাহ।
কিন্তু
দলের
পরাজয়
এড়ানোর
জন্য
তা
যথেষ্ট
ছিল
না।
নিজের প্রথম দুই
বলে
দুই
উইকেট
নেওয়া
রশিদ
শেষটায়
গড়ে
দিলেন
ব্যবধান।
তিনি
আক্রমণে
আসার
পর
যেন
বদলে
গেল
আফগানদের
বোলিং।
বাংলাদেশ
শেষ
৫
উইকেট
হারাল
মাত্র
১৪
রানে।
১৩ রানে ৩
উইকেট
নিয়ে
আফগানিস্তানের সেরা বোলার
লেগ
স্পিনার
রশিদ।
পেসার
শাপুর
জাদরান
৩
উইকেট
নেন
৪০
রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ১৬৮)
১৯
ওভারে
১২২
(তামিম
০,
লিটন
৩০,
সাকিব
১৫,
মুশফিক
১৭,
মাহমুদউল্লাহ ২৯, সাব্বির
০,
মোসাদ্দেক ১৪, হাসান
৫,
নাজমুল
৪*,
রুবেল
০,
আবু
জায়েদ
১;
মুজিব
১/২০,
শাপুর
৩/৪০,
নবি
২/২১,
করিম
১/২৭,
রশিদ
৩/১৩)
ফল: আফগানিস্তান ৪৫
রানে
জয়ী
১২২ রানে গুটিয়ে
গেল
বাংলাদেশ
পুরো ২০ ওভারও
ব্যাটিং
করতে
পারল
না
বাংলাদেশ।
তালগোল
পাকানো
ব্যাটিংয়ে যেতে পারল
না
লক্ষ্যের
ধারে
কাছে।
প্রথম
টি-টোয়েন্টিতে অনায়াস জয়
পেল
আফগানিস্তান।
১৯তম ওভারের শেষ
বলে
আবু
জায়েদকে
ফিরিয়ে
বাংলাদেশকে ১২২ রানে
গুটিয়ে
দেন
করিম
জানাত।
আফগানিস্তান পায় ৪৫
রানের
দারুণ
জয়।
এক ওভারে শাপুরের
তিন
উইকেট
আবুল হাসান ও
মাহমুদউল্লাহর পর রুবেল
হোসেনকেও
ফিরিয়ে
দিলেন
শাপুর
জাদরান।
স্টাম্প
ছেড়ে
তার
ওপর
চড়াও
হতে
গিয়ে
বোল্ড
হয়ে
যান
রুবেল।
তিনি
এই
ম্যাচে
গোল্ডেন
ডাক
পাওয়া
তৃতীয়
বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান।
শাপুরের দ্বিতীয় শিকার
মাহমুদউল্লাহ
ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার
মিছিলে
আশা
হয়ে
টিকেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। জাদরানকে উড়ানোর
চেষ্টায়
ফিরে
গেলেন
তিনিও।
২৫ বলে ৩০
রান
করে
উসমান
গনির
হাতে
ধরা
পড়েন
মাহমুদউল্লাহ।
তার
বিদায়ের
সময়
বাংলাদেশের স্কোর ১১৭/৮।
দ্রুত ফিরলেন হাসান
খরুচে বোলিংয়ের পর
ব্যাটিংয়েও ব্যর্থ আবুল
হাসান।
শাপুর
জাদরানের
বলে
বোল্ড
হয়ে
ফিরে
গেছেন
এই
পেস
বোলিং
অলরাউন্ডার।
আগের বলে ব্যাটের
কানায়
লেগে
উইকেটরক্ষকের মাথার ওপর
দিয়ে
চার
পেয়েছিলেন হাসান। পরের বলটি
বেরিয়ে
এসে
খেলতে
গিয়ে
ইয়র্কার
বানিয়ে
ফেলেন।
তার
মাশুল
দেন
বোল্ড
হয়ে।
১৭.২ ওভারের সময়
হাসান
ফেরার
সময়ে
আফগানদের
স্কোর
১১৭/৭।
রশিদের তৃতীয় শিকার
মোসাদ্দেক
সময়ে দাবি মেটাতে
পারছিলেন
না
মোসাদ্দেক হোসেন। বাউন্ডারি হাকানোর
জায়গায়
খেলে
যাচ্ছিলেন একের পর
এক
ডট
বল। শেষ পর্যন্ত
তাকে
ফিরিয়ে
দিয়েছেন
রশিদ
খান। ম্যাচে এটি
লেগ
স্পিনারের তৃতীয় উইকেট।
২৩ বলে ১৩
রান
করে
ফিরে
যান
মোসাদ্দেক।
তিনি
ফিরে
যাওয়ার
সময়
১৬.৩
ওভারের
বাংলাদেশের স্কোর ১০৮/৬। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আবুল
হাসান।
বাংলাদেশের একশ
আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশেরও স্কোর তিন
অঙ্কে
গেল
ছক্কায়।
১৫তম
ওভারের
শেষ
বলে
শাপুর
জাদরানকে
উড়িয়ে
সীমানার
বাইরে
পাঠান
মাহমুদউল্লাহ।
১৫ ওভার শেষে
বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/৫। মাহমুদউল্লাহ ২৩
ও
মোসাদ্দেক হোসেন ১১
রানে
ব্যাট
করছেন।
গুগলিতে ফিরলেন সাব্বির
এসেই শর্ট বল
পেয়ে
হাঁকাতে
চেয়েছিলেন সাব্বির রহমান।
বড়
দেরিতে
টের
পেলন
বলটা
গুগলি।
ডিফেন্স
করার
চেষ্টা
করেও
লাভ
হল
না,
হয়ে
গেলেন
এলবিডব্লিউ।
তামিম ইকবালেল পর
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই
ম্যাচে
গোল্ডেন
ডাকের
স্বাদ
পেলেন
সাব্বির।
রশিদের পরের বলটিও
ছিল,
পরাস্তও
হয়েছিলেন
নতুন
ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন।
কিন্তু
সেই
বলটি
হয়ে
যায়
ওয়াইড।
১১ ওভার শেষে
বাংলাদেশের স্কোর ৮৬/৫।
এসেই মুশফিককে ফেরালেন
রশিদ
জীবন কাজে লাগাতে
পারলেন
না
মুশফিকুর
রহিম।
বোলিংয়ে
এসেই
তাকে
ফিরিয়ে
দিলেন
রশিদ
খান।
মাত্রই আক্রমণে আসা
রশিদের
প্রথম
বলেই
রিভার্স
সুইপ
করে
ব্যাটে
খেলতে
পারেননি
মুশফিক।
ব্যাটের
কানা
ফাঁকি
দিয়ে
এলোমেলো
করে
দেয়
তার
স্টাম্প।
১৭
বলে
২০
রান
করে
ফিরে
যান
মিডল
অর্ডারের
এই
ব্যাটিং
ভরসা।
বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফিরলেন
লিটন
মুশফিকুর রহিম জীবন
পাওয়ার
পরের
বলে
ফিরলেন
লিটন
দাস। মোহাম্মদ নবির
বলে
তাকে
বিতর্কিত
এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার।
মোহাম্মদ নবির অফ
স্পিন
রিভার্স
হিটে
শর্ট
থার্ড
ম্যানের
ওপর
দিয়ে
উড়াতে
চেয়েছিলেন লিটন। ব্যাটে খেলতে
পারেননি।
আম্পায়ার
নবির
আবেদনে
সাড়া
দিয়ে
এলবিডব্লিউ দেন, যদিও
ইম্প্যাক্ট ছিল অফ
স্টাম্পের বাইরে।
২০ বলে ৩০
রান
করে
ফিরেন
লিটন।
৮
ওভার
শেষে
বাংলাদেশের স্কোর ৬৪/৩। ক্রিজে মুশফিকুর
রহিমের
সঙ্গী
মাহমুদউল্লাহ।
জীবন পেলেন মুশফিক
হাঁটু গেড়ে সুইপ
করলেন
মুশফিকুর
রহিম
কিন্তু
যেভাবে
খেলতে
চাইলেন
সেভাবে
পারলেন
না। ক্যাচ গেল
শর্ট
ফাইন
লেগ
ফিল্ডারের কাছে। সহজ ক্যাচ
মুঠোয়
নিতে
পারলেন
না
শাপুর
জাদরান।
বেঁচে
গেলেন
মুশফিক।
সে
সময়
১৫
রানে
ছিলেন
তিনি।
পাওয়ার প্লেতে তামিম,
সাকিবের
উইকেট
বড় লক্ষ্য তাড়ায়
যে
শুরু
দরকার
ছিল
পায়নি
বাংলাদেশ।
ইনিংসের
প্রথম
ওভারেই
তামিম
ইকবালকে
ফেরান
মুজিব-উর-রেহমান।
দুটি
চার
হাঁকানো
সাকিব
আল
হাসানকে
ফেরান
আরেক
অফ
স্পিনার
মোহাম্মদ
নবি। দলকে এগিয়ে
নিচ্ছেন
লিটন
দাস
ও
মুশফিকুর
রহিম।
পাওয়ার প্লের ৬
ওভার
শেষে
বাংলাদেশের স্কোর ৪৯/২। লিটন ২৬
ও
মুশফিক
৬
রানে
ব্যাট
করছেন।
আঁটসাঁট বোলিং করা
মুজিবকে
রিভার্স
হিট
করে
চার
হাঁকানোর
পর
আবার
একই
চেষ্টা
করতে
গিয়ে
একটুর
জন্য
বেঁচে
যান
লিটন।
তার
ব্যাটেই
কিছুটা
বেড়েছে
রানের
গতি।
বাজে শটে ফিরলেন
সাকিব
নিজের উইকেট যেন
উপহার
দিয়ে
এলেন
সাকিব
আল
হাসান।
মোহাম্মদ
নবিকে
উড়ানোর
চেষ্টায়
ফিরলেন
উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদকে
সহজ
ক্যাচ
দিয়ে।
চতুর্থ ওভারে বোলিং
এসে
আঘাত
হানেন
অফস্পিনার নবি। তাকে মাথার
ওপর
দিয়ে
উড়াতে
চেয়েছিলেন সাকিব। স্টাম্পের অনেক
বাইরের
বল
ঠিক
মতো
খেলতে
পারেননি।
ব্যাটের
কানায়
লেগে
আকাশে
উঠে
যাওয়া
গ্লাভসে
জমান
শাহজাদ।
১৫ বলে ১৫
রান
করে
ফিরেন
সাকিব।
তার
বিদায়ের
সময়
৩.৪
ওভারে
বাংলাদেশের স্কোর ২১/২। ক্রিজে লিটন
দাসের
সঙ্গী
মুশফিকুর
রহিম।
প্রথম বলেই আউট
তামিম
বড় রান তাড়ায়
শুরুতেই
বড়
ধাক্কা
খেল
বাংলাদেশ।
ইনিংসের
প্রথম
বলেই
হারাল
তামিম
ইকবালকে।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে গোল্ডেন
ডাকের
স্বাদ
দেন
মুজিব
উর
রেহমান।
দ্বিধা
নিয়ে
ফুল
লেংথ
বল
খেলতে
গিয়ে
এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন
তামিম।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৬৮
বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ে
সুবিধা
নিয়ে
আফগানিস্তানকে ভালো শুরু
এনে
দিলেন
মোহাম্মদ
শাহজাদ
ও
উসমান
গনি। শেষটায় ঝড়
তুললেন
সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ও
শফিকুল্লাহ।
তাতে
লড়াইয়ের
পুঁজি
পেল
আফগানিস্তান।
৮ উইকেট হারিয়ে
১৬৭
রান
করেছে
আসগর
স্টানিকজাইয়ের দল।
১ ওভারে মাত্র
১
রান
দিয়ে
২
উইকেট
নেওয়া
মাহমুদউল্লাহ আর বোলিংই
পাননি।
আরেক
অফ
স্পিনিং
অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক নিজের
একমাত্র
ওভারে
দেন
মাত্র
৩
রান। আঁটসাঁট বোলিংয়ে
সাকিব
১৯
রানে
নেন
১
উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান:
২০ ওভারে ১৬৭/৮ (শাহজাদ ৪০, গনি ২৬, স্টানিকজাই ২৫, নাজিবুল্লাহ ২, নবি ০,
শেনওয়রি ৩৬, শফিকুল্লাহ ২৪, রশিদ ৬*, করিম ০, মুজিব ০*; আবু জায়েদ ১/৩৪,
নাজমুল অপু ০/৩২, রুবেল ১/৩২, সাকিব ১/১৯, আবুল হাসান ২/৪০, মোসাদ্দেক ০/৩,
মাহমুদউল্লাহ ২/১)।
হাসানের দ্বিতীয় শিকার
করিমলং অন দিয়ে
আবুল
হাসানকে
ছক্কা
হাঁকানোর
চেষ্টায়
ফিরে
গেলেন
করিম
জানাত।
২০তম
ওভারে
এসে
নিজের
দ্বিতীয়
উইকেট
পেলেন
পেসার
হাসান।
ইনিংসের
শেষ
বলে
ছক্কা
হাঁকিয়েছেন রশিদ খান।
রান আউট স্টানিকজাই
ওয়াইড বলে দ্রুত
একটি
রান
নেওয়ার
চেষ্টায়
ফিরে
রান
আউট
হয়ে
ফিরে
গেলেন
আসগর
স্টানিকজাই।
অধিনায়ক
২৪
বলে
করেন
২৫
রান।
শফিকুল্লাহকে ফেরালেন হাসান
২০তম ওভারের প্রথম
দুই
বলে
জোড়া
ছক্ক্
হজমের
পর
আঘাত
হানলেন
আবুল
হাসান।
ফিরিয়ে
দিলেন
শফিকুল্লাহকে।
বাজে বলেই আউট
হয়েছেন
আফগান
মিডল
অর্ডার
ব্যাটসম্যান।
নিচু
স্লোয়ার
বল
ব্যাটে
খেলতে
না
পেরে
বোল্ড
হয়ে
যান
শফিকুল্লাহ।
৮
বলে
তিনি
করেন
২৪
রান।
ওভারে ২০ রান
নিয়ে
ফিরলেন
সামিউল্লাহ
দুটি করে ছক্কা-চারে
আবু
জায়েদের
ওভার
থেকে
সামিউল্লাহ সেনওয়ারি নিলেন
২০
রান। ঝড় তুলে
সেই
ওভারেই
অবশ্য
ফিরে
গেলেন
এই
মিডল
অর্ডার
ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের বাইরের
বলে
ঠিক
মতো
টাইমিং
করতে
পারেননি
সামিউল্লাহ।
সীমানায়
ক্যাচ
হাতে
জমান
মোসাদ্দেক হোসেন। ১৮ বলে
তিনটি
করে
ছক্কা-চারে
৩৬
রান
করে
ফিরেন
সামিউল্লাহ।
১৮ ওভার শেষে
আফগানিস্তানের স্কোর ১৩৫/৫। ক্রিজে আসগর
স্টানিকজাইয়ের সঙ্গী শফিকুল্লাহ।
আফগানিস্তানের একশ
সাকিব আল হাসানকে
মিড
উইকেট
দিয়ে
ছক্কা
হাঁকালেন
সামিউল্লাহ সেনওয়ারি, একশ
পার
হল
আফগানিস্তানের সংগ্রহ। দলের রান
তিন
অঙ্কে
নিতে
আফগানদের
লেগেছে
১৫.৪
ওভার।
১৬ ওভার শেষে
আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪
উইকেটে
১০৫
রান। আসগর স্টানিকজাই ২৩ ও
সামিউল্লাহ ৮ রানে ব্যাট
করছেন।
৪ ওভারে মাত্র
১৯
রান
দিয়ে
১
উইকেট
নিলেন
সাকিব।
মাহমুদউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার
নবি
বোলিংয়ে এসে দুই
উইকেট
তুলে
নিলেন
মাহমুদউল্লাহ।
নাজিবুল্লাহ জাদরানের পর
ফিরিয়ে
দিলেন
অফ
স্পিনিং
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিকে।
স্কিড করা বল
ভুল
লাইনে
খেলে
বোল্ড
হয়ে
যান
নবি। শূন্য রানে
তিনি
ফেরার
সময়
১৩.৫
ওভারে
আফগানিস্তানের স্কোর ৯১/৪। ক্রিজে আসগর
স্টানিকজাইয়ের সঙ্গী সামিউল্লাহ সেনওয়ারি।
বোলিংয়ে এসেই মাহমুদউল্লাহর আঘাত
সাকিব আল হাসান
ও
মোসাদ্দেক হোসেনের দুটি
আঁটসাঁট
ওভারের
সুফল
পেলেন
মাহমুদউল্লাহ।
বোলিংয়ে
এসেই
পেলেন
উইকেট।
ফিরিয়ে
দিলেন
নাজিবুল্লাহ জাদরানকে।
অফ স্পিনারকে বেরিয়ে
এসে
উড়াতে
চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ। ব্যাটের কানায়
লেগে
উঠে
যাওয়া
ক্যাচ
শর্ট
থার্ড
ম্যানে
জমান
আবু
জায়েদ।
২ রান করে
নাজিবুল্লাহ ফিরে যাওয়ার
সময়
১৩.২
ওভারে
আফগানিস্তানের স্কোর ৯০/৩। ক্রিজে আসগর
স্টানিকজাইয়ের সঙ্গী মোহাম্মদ
নবি।
শাহজাদকে জীবন দিলেন সাকিব
বোলিংয়ে ফিরে উইকেট পেতে পারতেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিতে পারেননি শাহজাদের ফিরতি ক্যাচ।
বেরিয়ে
এসে সাকিবের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন শাহজাদ। টাইমিং কিছুই হয়নি। ডান দিকে
হাত বাড়িয়ে আঙুল ছোঁয়াতে পারলেও ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সাকিব। সে সময় ৩৮
রানে ছিলেন আফগান ওপেনার।
গনিকে বোল্ড করে জুটি ভাঙলেন রুবেল
বোলিংয়ে ফিরে আঘাত হানলেন রুবেল হোসেন। উসমান গনিকে বোল্ড করে ভাঙলেন আফগানদের শুরুর জুটি।
রুবেলকে
বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন গনি। সুইং করে একটু ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাটই
ছোঁয়াতে পারেননি আফগান ওপেনার। ২৪ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান বোল্ড হয়ে।
৮.৩ ওভারে গনি বিদায় নেওয়ার সময় আফগনিস্তানের স্কোর ৬২/১। ক্রিজে মোহাম্মদ শাহজাদের সঙ্গী আসগর স্টানিকজাই।
এলোমেলো বোলিংয়ে আফগানদের ভালো শুরু
নাজমুল
ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ অনেক বল দিলেন স্লটে। তার পুরো সুবিধা
কাজে লাগালেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও উসমান গনি। দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু
পেল আফগানিস্তান।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৪ রান। শাহজাদ ১৯ বলে করেছেন ১৯, গনি ১৭ বলে ২১।
পাওয়ার প্লেতে আঁটসাট ২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ককে অনুসরণ করতে পারেননি সতীর্থদের কেউ।
পাঁচ স্পিনার নিয়ে আফগানিস্তান
অলরাউন্ডার
সহ পাঁচ স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে আফগানিস্তান। যার নেতৃত্বে আছেন লেগ
স্পিনার রশিদ খান ও দুই অফ স্পিনার মুজিব উর রেহমান ও মোহাম্মদ নবি।
আফগানিস্তান: আসগর
স্টানিকজাই, উসমান গনি, মোহাম্মদ শাহজাদ, মুজিব উর রেহমান, নাজিবুল্লাহ
জাদরান, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, শফিকুল্লাহ, দারবিশ রাসুলি, মোহাম্মদ নবি,
রশিদ খান, গুলবদন নাইব, করিম জানাত।
তিন পেসার নিয়ে বাংলাদেশ
দলে ফেরা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন এসেছেন একাদশে। বাদ পড়ে গেছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
স্পিন
আক্রমণে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
পেস বোলিংয়ে রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদের সঙ্গী অলরাউন্ডার আবুল হাসান।
বাংলাদেশ:
সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম,
সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, আবুল হাসান, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ,
নাজমুল ইসলাম অপু।
বাংলাদেশের অনেক চ্যালেঞ্জের সিরিজ
প্রস্তুতি
ম্যাচে উড়ে যাওয়া বাংলাদেশ কঠিন এক চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাকিব আল হাসানদের
পাওয়ার আছে সামান্যই, তার চেয়ে বেশি আছে হারানোর।
দেরাদুনে রোববার
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়। এই ম্যাচ দিয়ে ভারতের ২১তম টি-টোয়েন্টি
ভেন্যু হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিষেক হতে যাচ্ছে দেরাদুনের রাজীব গান্ধী
আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের।
তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের সবচয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ নিঃসন্দেহে সময়ের আলোচিত দুই স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর
রেহমান। সঙ্গে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে গড়া আফগান স্পিন আক্রমণ
টি-টোয়েন্টিতে সত্যিকার অর্থেই দুর্দান্ত। তবে বাংলাদেশের শক্তির জায়গাও
ব্যাটিং। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাকিবদের নিয়ে গড়া
ব্যাটিং অর্ডারের সামর্থ্য আছে ওই স্পিন আক্রমণের জবাব দেওয়ার।
চোটের
জন্য ছিটকে গেছেন দলের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। তিন স্পিনার সাকিব,
মেহেদী হাসান ও নাজমুল ইসলাম অপুকে নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব।
দুই দলের
একমাত্র লড়াইয়ে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে অনায়াসে জিতেছিল
বাংলাদেশ। তারপর থেকে অনেক এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান। র্যাঙ্কিং তার বড়
প্রমাণ। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের দুই ধাপ ওপরে আফগানরা।