মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
ছাত্রলীগের মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা বিএনপির দাবি, ছাত্রলীগের মিছিল থেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যালয়টি ভাংচুর করা হয়। আর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য নিজেরাই কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি স্থানীয় সাংসদের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে তারা কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা চেয়ার, টিভি, ব্যানার, আলমিরা, টেবিল ভাংচুর করে। এছাড়াও তারা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি নামিয়ে পদদলিত করে। তবে হামলার সময় কার্যালয়ে বিএনপির কোন নেতাকর্মী ছিল না।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, দলীয় কার্যালয়টি তালা মারা ছিল। আমাদের কোন কর্মসূচি ছিল না। ছাত্রলীগর কর্মীরা তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি পদদলিত করে।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম সবুজ দাবি করে বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলটি শেষের পরেই বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজেদের কার্যালয় নিজেরাই ভাংচুর করে।
অপরদিকে সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী জসীম, সদস্য সচিব হারুন অর রশীদ মজুমদার, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছুট্টু, যুবদল নেতা শরীফ হাসানসহ আরও অনেকে। এ সময় বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগ চৌদ্দগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতেই তাদের মিছিল থেকে দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ঢুকে ব্যাপক তান্ডব চালায়। আগামীতে যদি আবারও ছাত্রলীগ এ ধরনের কার্যকালাপ করে, তাহলে তাদেরকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর