নিজস্ব প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তা পর্যায়ের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অংশ নিতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের আমন্ত্রণে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান ও দেশটির প্রতিনিধিদল বুধবার (১ জুন) রাত ৮টার দিকে মালয়েশিয়া ত্যাগ করেছেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর এ সফর ও বৈঠক নিয়ে আগ্রহী অনেকেই। প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করতে গেলো বছরের ডিসেম্বরে সমঝোতা সই হয় দুই পক্ষের মধ্যে।
বিভিন্ন জটিলতায় দেশটিতে এখনো কর্মী পাঠানো শুরু করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে ঢাকা সফরে এসেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী। এর আগে, গত ২৬ মে ঢাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০ মে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে তা স্থগিত করা হয়।
এরপর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ মে বলে জানায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। পরে সেই তারিখও চূড়ান্ত না করে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২ জুন।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক মূলত কর্মকর্তা পর্যায়ে হয়ে থাকে। তবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের আমন্ত্রণে মালোয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশের জন্য দেশটির শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে ফলপ্রসূ আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন প্রবাসখাত বিশ্লেষকরা।
এদিকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে বা ঢাকায় প্রতিবাদ করলে, বাংলাদেশি নিয়োগকারীদের নিষিদ্ধ করা হবে।
মন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির মালয় মেইলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নিয়োগকারীদের সংখ্যা সীমিত করার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হুমকির কারণে তিনি তাদের নাগরিকদের এখানে শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি ভয় পাই না। তারা যতই হুমকি দেবে, আমি ততই নিষেধ করবো! প্রায় দুই হাজার নিয়োগকারী মালয়েশিয়ায় শ্রম সরবরাহের জন্য একটি উন্মুক্ত বাজারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করার হুমকি দিয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, যদি সিন্ডিকেটকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি দেওয়া হয় তবে নিয়োগের খরচ জনপ্রতি এক লাখ ২০ হাজার টাকা (৫,৯০০ রিঙ্গিত) থেকে বেড়ে সাড়ে চার লাখ টাকা (২২,২০০ রিঙ্গিত) হবে ।
গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে, যা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর হয়।
সারাভানান এক বিবৃতিতে বলেছেন, সমঝোতা স্মারকে উভয় দেশের দায়িত্বের যে রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, তাতে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা ও বাংলাদেশের শ্রমিকদের পাশাপাশি উভয় দেশের বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থার দায়িত্বগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর