শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

তারুণ্যের ভাবনায় পরিবেশ দিবস

শনিবার, জুন ৪, ২০২২
তারুণ্যের ভাবনায় পরিবেশ দিবস

জাকির হোসেন:

পরিবেশ আল্লাহ তালার এক বড় নিয়ামত৷ কিন্তু নিয়ামতের সঠিক ব্যবহার না করে এর অপব্যবহার করে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রতিনিয়ত নষ্ট করে চলেছি৷ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি (ইপিআই) গত বছর বিশ্বের ১৮০টি দেশের সরকারের পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯৷ এই প্রতিবেদনে বোঝাই যায় বর্তমান বাংলাদেশের জনগণ পরিবেশ নিয়ে কত সচেতন৷গত ১০ বছরে ৪০ধাপ অবনতি হয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা খুবই আশংকাজনক৷ এই অবস্থা উতরিয়ে পরিবেশ রক্ষায় কি করণীয়,এবং তরুণদের পরিবেশ নিয়ে ভাবনা তুলে ধরেছেন জাকির হোসেন।

''সভ্যতার বিকাশ এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ একসাথে পাওয়া সম্ভব!?"

কারিমা আক্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,/ লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর/ হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,/ দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি...।’বিশ্বকবির আক্ষেপ..।উন্নত হচ্ছে সভ্যতা ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ।আমাদের পৃথিবী কি আমরা বাসযোগ্য করে তুলতে পারছি নতুন প্রজন্মের জন্য।

আপনি কি অনুভব করতে পারছেন-বৃক্ষের অনুভূতি অথবা আর্তনাদ।বৈজ্ঞানিকরা প্রমান করেছেন যে,মানুষ যখন গাছ কাটে বা গাছের শারীরিক ক্ষতি করে অথবা প্রচন্ড খরায় পানির অভাবে গাছ আর্তনাদ করে কিন্তু উচ্চ কম্পাংকের কারণে আমরা তা শুনতে পাই না।যাদের ছাড়া প্রান অসম্ভব তাদেরই আমরা ধ্বংস করছি নির্বিচারে। প্রশ্ন জাগতেই পারে, গাছের কি চিন্তা শক্তি আছে?তারা কি মানুষের সাথে ভাব বিনিময় করতে পারে?তারাও কি ভালোবাসতে পারে?উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ।
আজ ৫-ই জুন, ২০২২বিশ্ব পরিবেশ দিবস।এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য-লিভিং সাস্টেইনেইবিলিটি ইন হারমোনি উইথ নেচার।যার ভাবানুবাদ -"একটাই পৃথিবী, প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন"৷
অক্সিজেন ছাড়া তিন মিনিটের বেশি মানুষ বাঁচতে পারে না।আর আমরা অক্সিজেন পাই প্রকৃতি থেকে।বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রয়োজন ৫৫০ লিটার।২৪ ঘন্টা ব্যাবহার করতে পারে এমন অক্সিজেন সিলিন্ডারের মূল্য ৬৬০০০ টাকা।অথচ একটি পূর্নাঙ্গ গাছ অন্তত ১৮ জনের অক্সিজেন সরবারহ করে।পৃথিবীর ৭৫% অক্সিজেন আমরা পাই সামুদ্রিক শৈবাল ও উদ্ভিদ থেকে।প্রকৃতিই আমাদের বেঁচে থাকার সমস্ত রসদ জোগায়। প্রকৃতি তার ভক্তদের যা দেন,তা অতি অমূল্য।প্রকৃতি ও পরিবেশের কারনে আমরা টিকে আছি।অথচ, মানব সৃষ্ট কর্মকান্ডের কারনেই ঘটছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন,সামুদ্রিক দূষন,পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা।

তাই এখনই উচিত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনের-বিপুল পরিমানে বৃক্ষরোপণ করা,প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো,প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার,সক্রিয় প্রচারনা কর্মসূচী পরিচালনা করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।পৃথিবী হবে গাঢ় সবুজ গ্রহ এমনটাই প্রত্যাশা হওয়া উচিত সকলের।আপনি যদি প্রকৃতিরানীর যত্ন করেন।প্রকৃতিরানীও আপনাকে শতরূপে মুগ্ধ করবে,নতুন দৃষ্টি জাগ্রত করে তুলবে,মনের আয়ু বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুন।"যুদ্ধে -প্রানে প্রকৃতি প্রতিবেশ,আগামীর প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ "এমনই প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে বাংলাদেশে এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচীর জন্য।আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপই একদিন বদলে দিবে হয়তো সমগ্র বিশ্বকে।তাই পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

"মরণশীল উন্নয়ন কাম্য নয় "

আবু তাহের, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ইট,পাথর আর কংক্রিটের বিশ্বে যান্ত্রিক উন্নয়ন সাধিত হলেও পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে সমানুপাতিক হারে। এর মূলে রয়েছে আমাদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা। অসুস্থ প্রতিযোগিতা বলার একটাই কারণ হচ্ছে বহির্বিশ্বে যান্ত্রিক উন্নয়নের সাথে সাথে পরিবেশের উন্নয়ন লক্ষ করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে এর বিপরীত প্রতিচ্ছবি প্রকাশ পায়। একটি দেশের ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে এর পরিমাণ ১৫ শতাংশ প্রায়। সময়ের সাথে এই পরিমাণটা ক্রমহ্রাসমান । প্রতিবছর হাজার হাজার একর বনভূমি উধাও হচ্ছে। কাটা পড়ছে শত কোটি গাছ। একই সাথে প্লাস্টিক বর্জ্য এবং জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে হারিয়ে ফেলছি উর্বর জমি।
 নদীর পানিতে কল কারখানার বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো প্লাস্টিকগুলো মাছের মাধ্যমে সর্বশেষে আমাদের শরীরেই প্রবেশ করছে। হাইব্রীড শস্যের উৎপাদনে অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারে মাটির নিচের উপকারী অনুজীব এবং কেঁচোগুলো মারা যাচ্ছে। ফলাফল হিসেবে পরিবেশ থেকে যতটুকুই পাচ্ছি তার বেশির ভাগই বিষাক্ত। যানবাহনে পেট্রোল- ডিজেলের ব্যবহারে বাতাসে ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ঢাকা শহর আজ বিষাক্ততায় পরিপূর্ণ। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ বিশ্বের পরিবেশ বিপর্যয় ৪০ ধাপ নিচে অবতরণ করেছে। দেশ উন্নয়ন হবে, বিশ্ব আরও উন্নয়ন হবে তাতে কারো আপত্তি নেই তবে পরিবেশের বিপর্যয় করে মরণশীল উন্নয়ন কাম্য নয়।

"পাঠ্যবই এর পরিবেশ বিজ্ঞানের যথাযথ চর্চা হোক বাস্তব জীবনে"

নওরিন নুর তিষা, দর্শন বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

জন্ম থেকে গর্ভধারিণী মায়ের বুকে বেড়ে উঠলেও আমাদের প্রকৃত স্থান মূলত প্রকৃতি মা। কিন্তু এই প্রকৃতি মায়ের প্রতিই আমাদের যত অবহেলা,উদাসীনতা। আমরা ভুলেই যাই আমাদের চারপাশের পরিবেশের বাকশক্তি না থাকলেও তারও যত্নের প্রয়োজন। প্রয়োজন চর্চার। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন জ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের অন্তভূর্ক্ত করা হলেও তার প্রয়োগ শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতা পর্যন্তই।বাস্তব জীবনে যার নেই কোনো অস্তিত্ব। আমরা সকলেই শ্রেণীকক্ষে পরিবেশ বিষয়ে সুশীল হলেও শ্রেণীকক্ষের বাইরের পরিবেশে হয়ে যাই ভিন্ন। আমরা পরিবেশ কে সংরক্ষণের পরিবর্তে হয়ে উঠি হুমকিস্বরূপ।

 আমাদের সকলের উচিত শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও পরিবেশ রক্ষার জ্ঞান মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় সেটি উদগিরন করে বাস্তব জীবনে তার বিপরীত ভূমিকা পালন না করে পরিবেশের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া। নিজের আবাসস্থলের মতোই কক্ষের বাইরের পরিবেশ টাকেও গুছিয়ে রাখা। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবেশের প্রতি সোচ্চার ভূমিকা পালন না করে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত। প্রকৃতপক্ষেই তারা যেন প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে গড়ে ওঠে এবং শুধুমাত্র বিশেষ কোনো দিনে নয় সারা বছরই যেন পরিবেশ কে সংরক্ষনের প্রতি দায়িত্বশীল হয়। আমাদের সকলের চারপাশ হয়ে উঠুক সবুজ ও অন্তর হয়ে উঠুক শীতল।

"পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সচেতন হতে হবে"

হাসান রাব্বি, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

গাছেরও তো প্রাণ আছে ভাই!
গাছের মতো নিঃস্বার্থ বন্ধু,
এই পৃথিবীর মাঝে নাই।
পরিবেশ বাঁচাতে বিনাস্বার্থে, 
গাছ ছাড়া এই পৃথিবীর মাঝে, 
সবুজ রঙে কে সাজবে ভাই?

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি ও দায়িত্ব অন্য সকল প্রাণী থেকে বেশি। আর তরুণরা হলো সেই মানুষদের মধ্যে একটি উদীয়মান ভবিষ্যৎ। যাদের কর্ম, চিন্তা-চেতনা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। তাই পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের দায়িত্ব অপরিসীম। 

পরিবেশকে অনিবার্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি তরুণদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে। কোন কাজগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বা কোন কাজগুলোর জন্য পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তা পরিহার করতে হবে। যে কাজগুলো পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে সে কাজগুলো বেশি বেশি করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় গাছের কোন বিকল্প নেই। তাই বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করতে হবে। 

এই বিষয়ে তরুণ সমাজকে খুবই সতর্কমূলক দৃষ্টি গ্রহণ করতে হবে। মোটকথা পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণের পাশাপাশি সকল মানুষের পাশাপাশি তরুণ সমাজকেও সচেতন হতে হবে। বাস্তব কথা হলো তরুণ সমাজ পরিবেশ নিয়ে সচেতন না হলে, এই পরিবেশ রক্ষায় তাঁরা এগিয়ে না আসলে, এই পরিবেশ রক্ষায় তাঁরা ভূমিকা পালন না করলে পরিবর্তন সম্ভব না। তাই এই পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কারন পরিবেশ বাঁচলে পৃথিবী বাঁচবে আর পৃথিবী বাঁচলে আমরা ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে।

"একটাই পৃথিবী,একতাই পৃথিবী"

ফারহানা আফসার মৌরী, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতিবছর ৫ জুন। এর অর্থ এইদিনেই আগামীর পরিবেশ কতটা সুন্দর স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায় তারই সংকল্প গ্রহণ করা হয়। শুধু সারাবছরই নয়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলে এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের কার্য।

এবারের পরিবেশ দিবসের মূল থিমঃ "Only one Earth" কারণ পরিবেশ আর পৃথিবী একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে গেলে আমাদের প্রয়োজন বাস্তুতন্ত্র। আর বাস্তুতন্ত্রের প্রধান উপাদান পরিবেশ। কিন্তু মানুষের অপরিনামদর্শী কর্মকান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ আমাদের বন্ধু। শুধু বন্ধু নয়,আমাদের বেঁচে থাকার মাধ্যম। পরিবেশকে অসুস্থ রেখে মানুষ কখনোই সুস্থ থাকতে পারবে না। তাই আমাদের নিজেদের কথা চিন্তা করে হলেও পরিবেশকে ভালোবাসা উচিৎ। অবৈধ গাছপালা কাটা থেকে বিরত থাকা, অসতর্ক হয়ে গ্যাস,বিদ্যুৎ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা,নিয়মিত গাছপালা লাগানো ইত্যাদি কাজে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ। 

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান। পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য সংকল্প গ্রহণে সারা পৃথিবীর সকল দেশই সামিল হয়েছে। আসুন আমরাও সামিল হই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এই কর্মযজ্ঞে। বলি- একটাই পৃথিবী,একতাই পৃথিবী।

"পরিবেশের সৌন্দর্য বহাল রাখতে পেরেছি কি?"

রিপন কুমার সাহা,মার্কেটিং বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

৫ জুন পালিত হয় ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশগত মান উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার লক্ষ্যে পালন করা হয় দিবসটি। 

প্রকৃতির থেকেই সৃষ্টি হয় পরিবেশ। প্রকৃতি তার সাধ্যমত সবটুকুই আমাদের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছেন। প্রকৃতি আমাদের পরিবেশ দিয়েছে ঠিকই, কিন্ত সেই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ আজও কি ততটাই সুন্দর রয়েছে? নাকি দিনের পর দিন, সেই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বিলীন হয়ে যাচ্ছে অগোচরে?

আচ্ছা নিজেকে কি প্রশ্ন করা যায় না? বর্তমান পরিবেশের এই বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী কে? বনের অবুঝ সেই পশুপাখি গুলো? নাকি আমাদের মত জ্ঞান বুদ্ধিসম্পূর্ণ শিক্ষিত-অশিক্ষিত এই মানুষগুলো? 
প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ সংকটের মুখোমুখি। এ সংকট বিশেষ কোনো গোষ্ঠী, দেশ বা জাতির নয়; সমগ্র মানবজাতির। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বিপন্ন পরিবেশ। মানুষের বসবাস উপযোগী বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ। তাই বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পালন করা হয় ‘পরিবেশ দিবস’। 

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় ভারত ও চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। অন্যদিকে, বড় শহরগুলোর মধ্যে দূষণের দিক দিয়ে বিশ্বে রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজ প্রজেক্টের প্রতিবেদনে বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বায়ুদূষণকে চার নম্বরে দেখানো হয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৫৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।

আমি মনে করি, এই পরিস্থিতিতে জনগনকে পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষ চাইলেই এই পরিবেশ কে রক্ষা করা সম্ভব, হোক সেটা নিজের জন্য অথবা অন্য কারো জন্য।

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল