মোঃ ইয়াছিন আলী:
পুলিশ গনমুখী সেবামুখী,দেশ ও দশের তরে,প্রতিশ্রুতিশীল,একটি সংস্থা। এই সংস্থাটি সম্পুর্নভাবে সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এই পুলিশ নামীয় সংস্থাটির দায় দায়িত্ব, ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর।
একটি রাষ্ট্রের আষ্টেপৃষ্টে পুলিশের উপস্থিতি এবং কর্মযজ্ঞ দৃশ্যমান। বহুস্রোতা নদীর মত। কখনো জাতির স্বার্থে ক্রাউটারদের বিরুদ্ধে গর্জন, কখনো বাবা মা হারা
নিখোঁজ সন্তানের কাছে পিতামাতার মত আচরণ, কখনো ভিকটিমদের মাঝে বন্ধুস্বলুপ স্বভাব প্রদর্শন, কখনো মাতাল/ অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষের অভিভাবকের স্থলে দায়িত্বরত পুলিশের নাম বসিয়ে দেওয়া, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভিকটিমদের মাঝে প্রেমিক স্বরূপে নিজেকে উপস্থাপন করা, কখনো কখনো মিথ্যে জেনেও সান্ত্বনার বাণী শোনানো, কখনো কখনো একজন কুখ্যাত খুনী কিংবা টপটেরর এর ইন্টারোগেশন শেষ করেই রুক্ষ মেজাজে বেরিয়েই আগত ভিকটিমের সাথে প্রাঞ্জল ভাষায় ও সহাস্যে কথা বলা। আপনসত্ত্বা ভুলে গিয়ে নিজের ভাললাগা ভালবাসা, অনুভূতি জলাঞ্জলি দিয়ে ঈদ পুঁজা পার্বণ রাষ্ট্রীয় দিবসে অনডিউটিতে গণমানুষের পাশে থাকা।
রাতে ঘুমানোর আগে বিদঘুটে অন্ধকারে পুলিশের সরব উপস্থিতি জনতা কামনা করে। সর্বছুটি দিবস অর্থাৎ ঈদের জামাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পোষাক পরিহিত পুলিশের উপস্থিতি কামনা করে। পুলিশের ছুটি, পুলিশের অনুভব অনুভূতি ভাললাগা ভালবাসা,নিয়ে কারো কোন নুন্যতম মাথা ব্যাথা নেই।
পুলিশ একটি সেবামুখী সংস্থা। একটি লগো, দেশপ্রেমিক এবং জবাবদিহিতামুলক প্লাটফর্ম। এই সংস্থায় নিয়োগ প্রাপ্তদের বা নিয়োজিতদের পুলিশ বলে ডেকে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ।
ঢালাওভাবে পুলিশের সদস্যদের নিয়ে আমার অনেক পরিচিতজন হিংসাত্মক বিশ্রী এবং বিরূপ মন্তব্য করে থাকেন। আমি তাদের কয়েকজনকে বলেছিলাম যে, আপনার এলাকার চেনাজানা কুখ্যাত চোর, লুটেরা, ভূমিদস্যু, ডাকাত,জালজালীয়াতীকারী, এবং নিরেট বেয়াদব পুলিশের চাকরি করে এমন কোন প্রমান বা উদাহরণ আছে কি? সেদিন কয়েকজনই বিনা জবাবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। উল্লেখ্যিত গুণের বহুজনে আপনার চারপাশে আছে এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
একজন আমাকে বলেছিলেন, তিনি পুলিশের সক্রিয়তা,সদিচ্ছা খুঁজে পান না। জবাবে আমি বলেছিলাম,পুলিশ জেগে থাকে বিধায় আপনি স্বপরিবারে সুখনিদ্রায় রাত্রি যাপন করেন। পুলিশ রনপাহারায় থাকে বলেই আপনার গচ্ছিত টাকা ব্যাংকে নিরাপদে থাকে। পুলিশী এ্যাকশন বা আইনী কার্যক্রম পরিচালনাকারী পর্ষদ সজাগ আছে বলেই আজকের বাংলাদেশে সর্বাত্রে নিরাপদে নারীদের বিচরণ। প্রিভেন্টিভ এ্যাকশন সর্দাই পর্দার আড়ালে থাকে।
পুর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পুলিশ একঘন্টা কর্মবিরতি
জাতির সামনে দৃশ্যমান হলে ঐ এক ঘন্টায় পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ হবে সর্বকালের কুরুক্ষেত্র। উম্মাদদের উলঙ্গময় বাংলাদেশ। লুটেরাদের স্বর্গরাজ্য।
শর্ত ও স্বার্থ পাগল মানুষ সবসময়ই অকৃতজ্ঞ হয়।
আমি আমরা তার ব্যতিক্রম নই। পুলিশের ন্যায়োচিত ল,ফুল এ্যাকশন পক্ষে থাকলেই পুলিশ ভালো, অন্যথায় চলে পুলিশের গোষ্ঠীশুদ্ধ খিঞ্জিখেউর।
মিথ্যের রাজ্যে সত্য সাক্ষী তালাশ করা নিরোধের কাজ। হুদাই হৈচৈ করা এ সমাজ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিথ্যুকের আশ্রয়দাতা। যার কারণে দিবালোকে জনসম্মুখে সংঘটিত অপরাধ ধামাচাপা পড়ে যায় সাক্ষীর অভাবে।
সংঘটিত প্রতিটি অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় পুলিশ হলো ডিটেকটিভ সাক্ষী। মুল সাক্ষী নয়। পুলিশের শুভাকাঙ্ক্ষী থাকতে নেই। কারণ পুলিশ কখনোই নিরেপক্ষ হতে পারে না, পুলিশের আইনশুদ্ধ কাজে আজ যে পক্ষে সুবিধা পাবে সে ক্ষণিকের জন্য বদনাম করা থেকে বিরত থাকবে, পুলিশ সর্বদা, আইনের শাসন ও সত্যের পক্ষে ওয়াদাবদ্ধ। পুলিশ সর্বাবস্থায় দেশ ও জাতির পক্ষে। দেশের সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।