নিজস্ব প্রতিনিধি: যাত্রীসঙ্কটে পড়েছে হজকার্যক্রমে নিয়োজিত সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বিমান। হজের ফ্লাইট শুরু হলেও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের আগামী ১২ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত ১৪টি ফ্লাইটে তাদের মোট আসনের ৬৯ ভাগ টিকিটই এখনো বিক্রি হয়নি। ফলে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে গত ৫ জুন থেকে হজফ্লাইট শুরু হলেও বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রতি ফ্লাইটে গড়ে ১০ জন হজযাত্রী যাচ্ছেন না। এতে শেষদিকে হজযাত্রী পরিবহনে সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৫ জুন থেকে বাংলাদেশ থেকে এ বছরের হজফ্লাইট শুরু হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন পবিত্র হজ পালনে যাবেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান সরকারি- বেসরকারি মিলিয়ে ২৯ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে। এছাড়া সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ২৩ হাজার ৫৪৫ জন এবং ফ্লাইনাস পাঁচ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে।
এর মধ্যে এখনো ৯৬টি আসনের টিকিট বিক্রি হয়নি। ১৪ জুন অনুরূপ একটি ফ্লাইটে ৩৯৫টি আসনের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ১৫৮টি আসন। ১৭ জুন চারটি ফ্লাইটে মোট এক হাজার ৫৭২ আসনের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৬১৪ আসন, ১৮ জুন চারটি ফ্লাইটে এক হাজার ৫৯৬টি আসনের মধ্যে এক হাজার ৫৫৭টি আসনই ফাঁকা রয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তারা লিখিতভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
এ কারণে মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এজেন্সিগুলোকে এ ব্যাপারে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সূত্রে জানা যায়, এ বছর হজকার্যক্রম দেরিতে শুরু হওয়ায় বেশির ভাগ এজেন্সি মালিক বর্তমানে বাড়িভাড়াসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
এদিকে জানা গেছে, গত ৫ জুন থেকে হজফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকে শিডিউলকৃত ডেডিকেটেড ফ্লাইটে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন যাত্রী কম যাচ্ছেন। এ কারণে মন্ত্রণালয় ওই সব হজযাত্রীর অন্য যেকোনো শিডিউল ফ্লাইটে সৌদি আরবে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর