মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন সরকারী গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নলকূপ বরাদ্দ না পেয়ে এবং ঘুষের টাকা ফেরত পেতে ভূক্তভোগী ইব্রাহিম খলিল বাবলু জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ইব্রাহিম সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, সরকারি গভীর নলকূপ এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বরাদ্দ আসে।
অভিযোগে বলা হয়, সদর উপজেলার পশ্চিম দিঘলী গ্রামের ইসলাম পাটওয়ারী বাড়িতে অনেকগুলো পরিবারের বসবাস। ওই গ্রামে বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। এতে ইব্রাহিম খলিল একটি নলকূপের জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের সঙ্গে তিন মাস আগে যোগাযোগ করেন।
এ সময় নাসির জানায়, নলকূপ দেওয়ার ক্ষমতা নেই তার। এটি দিতে পারেন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
তবে নাসির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন। এতে নাসিরের কথা অনুযায়ী দুইদিন পর কার্যালয়ে তাকে ইব্রাহিম ২৫ হাজার টাকা দেন। ২০-২৫ দিন পর আসতে বললেও কার্যালয়ে এসে তাকে পাননি ইব্রাহিম। এরপর সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, নাসির রামগঞ্জ
উপজেলায় বদলী হয়ে গেছেন। এতে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ইব্রাহিমকে চিনতে পারছেন না বলে এড়িয়ে যান।
ইব্রাহিম খলিল বাবলু বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে নলকূপ পাওয়া কস্টকর। যোগাযোগের পর একদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘গভীর নলকূপ দেবো, ২৫ হাজার টাকা দাও’’। টাকা দেওয়ার পর এখনও তিনি নলকূপ দেননি। এজন্য বাধ্য হয়েই অভিযোগ করেছি।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কেটে দেন। এরপর তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইলফোন নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়।
লক্ষ্মীপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। এক্ষেত্রে ভূক্তভোগীকে অবশ্যই প্রমাণাদিসহ অভিযোগ করতে হবে।
সময় জার্নাল/এমআই