অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশের ই-কমার্স খাতসহ অনলাইন কেনা-বেচায় ডেলিভারি সেবার সময় বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ই ক্যাব এর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাত ১২ টা পর্যন্ত ই-কমার্সের পণ্য ডেলিভারি চলমান রাখার এই অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেলের দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটও সেলের মহাপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশনা।
নতুন নির্দেশনায় ই-কমার্স খাত সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টগুলো রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
নির্দেশনার বলা হয়
১ খাদ্য ও কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক বা যানবাহন সার্বক্ষনিক চলাচল করতে পারবে।
২। অনলাইন বা ই-কমার্সের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করা হবে। ই-কমার্সের ডেলিভারীমান সকাল ৬:০০ ঘটিকা হতে রাত ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত স্বাভাবিক চলাচল করতে পারবে।
৩। ডেলিভারীম্যান ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য প্রয়ােজনীয় পরিচয়পত্র নিজনিজ প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রদানকরবে। ই-কমার্সের ডেলিভারী কাজে নিয়োজিত ডেভিমান ও যানবাহনের জন্য ই-কমার্স এসােসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। লােগো এবং সিরিয়াল নম্বর সম্বলিত পরিচিতিমূলক স্টিকার/পরিচয়পত্র প্রদান করতে পারে।
8। স্বাস্থ্য বিধি মেনেলা ইকমার্স প্রতিষ্ঠান এর সাথে সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টসমূহের রাঙ্গাম্বর সকাল ৬:০০ ঘটিকা হতে রাত ১০:০০ ঘটিকা পর্যন্ত খোল রাখতে পারবে।
৫। এক্ষেত্রে রেস্টুরেটসমূহে বসে বা অবস্থান করে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। শুধু পার্সেল এর মাধ্যমে খাবার ডেলিভারী দেয়া যাবে।
৬। ডেলিভারিম্যানগন কোনক্রমেই রেস্টুরেন্টের কিচেনে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিচেনের বাইরে থেকে খাবার পার্সেল গ্রহন করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকের নিকট তা পৌঁছে দিতে হবে।
৭। এ বিষয়ে খাবার ডেলিভারীর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্ট এর তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট তদারকির জন্য দাখিল করবে। এ পত্রের সাথে সংযুক্ত গাইড লাইন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণপূর্বক খাবার ডেলিভারী দিতে হবে। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তাদের সদস্যদের প্রয়ােজনীয় পরিচয় পত্র এবং স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে প্রয়ােজনীয় প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিং প্রদান করবে।