নিজস্ব প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত তিন দিনের বৃষ্টিতে হালিশহর বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাটসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন স্থান হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত রাতে নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেট অংশেও সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এতে ফ্লাইওভারে যানজট লেগে যায়।
আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে আটকে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সড়কে পানি থাকায় ফ্লাইওভারে উঠেছিলাম জলাবদ্ধ সড়ক অতিক্রম করতে। কিন্ত এক ঘণ্টা ধরে ফ্লাইওভারেও যানজটে আটকে আছি।’
এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় রিকশায় অথবা পায়ে হেঁটে হাঁটু পানি মাড়িয়ে যাত্রা করতে হয়েছে কর্মস্থলে।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪৮ দশমিক ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ ও আগামীকাল বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাতে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে নগরীর আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও বিজয় নগর এলাকায় পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানান, শুক্রবার দিনভর পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়। আজ সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
এছাড়া ভারী বর্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও এলাকায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর