সময় জার্নাল ডেস্ক: আইফার্মার। দুই কান্ডারি। দু'বন্ধু। ফাহাদ ইফাজ ও জামিল এম আকবর। তাঁদের গড়ে তোলা স্টার্টআপ ‘আইফার্মার’।
গত সাড়ে তিন বছরে আইফার্মার ১৯ জেলার ১৭ হাজার কৃষককে ঋণ দিয়েছে। কৃষকের গবাদিপশু পালন ও শস্য উৎপাদনে প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যও ছয়টি বিভাগের ৯৬টি বাজারে বিক্রি করছে আইফার্মার। তাঁদের নিবন্ধিত কৃষকেরা সরাসরি ব্যাংকঋণও পেতে শুরু করেছেন।
তারা আরো জানান, ‘কৃষকদের জন্য ওয়ান–স্টপ সলিশন চালু করা হচ্ছে। কারণ ঋণ, বীজ ও সার, পরামর্শ এবং বিক্রির জন্য আলাদা জায়গায় দৌড়াতে হয়। কৃষকদের মাথাব্যথা কমাতে চাই। তাঁদের পণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে চাই। কারণ, ১০ জন কৃষকের মধ্যে ৯ জনের সন্তানই ভবিষ্যতে কৃষিকাজে আসতে চান না। তাই কৃষকদের কাজকে সহজ করে তাঁদের সন্তানদের কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে জাতি হিসেবে বিপদে পড়ব।’
আইফার্মারের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ ১২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের মুনাফাসহ ৯০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে শুরুতে বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হলেও এখন তা ১৭ শতাংশ। তবে ধীরে ধীরে আমরা ব্যাংকের মাধ্যমেই ঋণ দিতে চাই। কারণ, আমাদের মূল লক্ষ্য কৃষক। তাঁদের ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দেওয়াটা সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
বর্তমানে আইফার্মারের নিবন্ধিত কৃষকের সংখ্যা ৬৪ হাজারের মতো। তাঁদের প্রত্যেকের ৬০ ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রতিষ্ঠানটির কাছে রয়েছে।
করোনাকালের শুরুতে কৃষকেরা যখন পণ্য বিক্রি করতে সমস্যায় পড়েছিলেন, তখন আইফার্মার নতুন উদ্যোগ নেয়। তারা কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কিনে ঢাকায় পাইকারি বাজারে বিক্রি শুরু করে। বর্তমানে ১৯টি জেলার ৪০টি পয়েন্ট থেকে সবজি সংগ্রহ করে ৬টি বিভাগের ৯৬টি বাজারে সরবরাহ করে আইফার্মার। তাতে কৃষকেরা তাঁদের পণ্যের কিছুটা হলেও বাড়তি দাম পান।
আইফার্মারে বর্তমানে স্থায়ী কর্মী ১২০ জন। খণ্ডকালীন ধরলে সংখ্যাটি ২০০-এর ওপরে। সম্প্রতি তাঁরা ২১ লাখ মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছেন। সেই অর্থ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় করা হবে ।
সময় জার্নাল/এলআর