মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই ইউপি সদস্যের ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা হলেন,চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ ছোটন (৪২)। সে ওই ওয়ার্ডের আজগর সর্দার বাড়ির সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বেচু মিয়ার ছেলে। অপরজন হচ্ছে একই ওয়ার্ডের সাবেক আরেক ইউপি সদস্য আহছান উল্যাহ (৬৪)। তিনি ওই ওয়ার্ডের মাইলওয়ালা বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে।
গত সোমবার (২০ জুন) থেকে দুই জনপ্রতিনিধির ফেসবুকে ইয়াবা সেবনের ভিডিও প্রকাশের পর উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। উপজেলায় একাধিক সাবেক জনপ্রতিনিধির ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এরপর গত বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে সাবেক মেম্বার আহছান উল্যাকে পুলিশ ২০ পিস ইয়াবাসহ তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। একই মঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় জনগণ।
গত সোমবার রাতে সত্যের সন্ধ্যানে মুখোশ উন্মোচন ফেসবুক আইডিতে সাবেক ইউপি সদস্য ছোটনের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পরে ভিডিও চিত্রটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে,একটি আঞ্চলিক নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেইজে আহছান উল্যাহ মেম্বারের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি আপলোড হলে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড মাদক কারবারিদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। ফেনী অঞ্চলের সাথে চোরাই পথে যোগাযোগের সুবিধা থাকায় এ অঞ্চলটি মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ। কিছু দিন আগে চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন ইয়াবা সেবী ও কারবারির মধ্যে ইয়াবা বেচাকেনা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের সূত্র ধরে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে সাবেক দুই ইউপি সদস্যদের ইয়াবা সেবনের ভিডিওচিত্র আপলোড করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,ইয়াবা সেবীদের একান্ত সহযোগিরাই এসব ভিডিওচিত্র তাদের মুঠোফোনে ধারণ করে রাখে। বিরোধ দেখা দিলে যা ফাঁস হয়।
আপনার ইয়াবা সেবনের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর মুঠোফোনে কল দিয়ে এমন প্রশ্ন করা হলে চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ ছোটন বলেন, আমি গাড়িতে আছি। পরে ফোন দিবেন বলে লাইন কেটে দেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন,ইতিমধ্যে পুলিশ একজন সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর