শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কবে সেতুর সুবিধা ভোগ করবে শরীয়তপুরবাসি?

মঙ্গলবার, জুন ২৮, ২০২২
কবে সেতুর সুবিধা ভোগ করবে শরীয়তপুরবাসি?

সময় জার্নাল ডেস্ক: পদ্মা সেতুই এখন শরীয়তপুরের ভোগান্তির বর পুত্র স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কোটি কোটি মানুষের মধ্যে আনন্দ আর স্বস্তি ফিরলেও এর সুফল ভোগের অন্যতম দাবিদার শরীয়তপুরের মানুষের। এই জেলার  লাখ লাখ যাত্রীর ভোগান্তি না কমে বরং বেড়েছে গত তিন দিনে।

আরো কত বছর তাদের দুঃখ-কষ্ট বয়ে বেড়াতে হবে তা কেউ অনুমানও করতে পারছেন না। কারণ পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে বের হয়ে জেলায় প্রবেশের পর থেকেই শরীয়তপুর সদরের ২৭ কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগ সড়ক সরু, এবড়োথেবড়ো আর ভাঙ্গাচোরা। একটি  বাস সাইড দিতে গেলে অপর দিকের গাড়িগুলো আটকে যাচ্ছে।দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির সারি আর সময়ক্ষেপণ।

এ ছাড়া কোনো কোনো রাস্তার মোড় এতটাই সরু, যেকোনো সময় বাস, প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্স বা অন্যান্য গাড়ি উল্টে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছেপদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার আগেই এই জেলায় চার লেনের রাস্তা সম্পন্ন হবার কথা ছিল। পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষ হলেও শুরু হয়নি চার লেনের কাজ।

এই জেলার প্রতিটি রাস্তা সরু যা বাস চলাচল সহ বড় যে কোন গাড়ি চলার জন্য অনুপযোগী।এতকিছুর পরেও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ার দিন থেকেই শরীয়তপুরের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি পরিবহন বিআরটিসি ও বেসরকারিভাবে ঢাকা থেকে ‘লাক্সারি’ বাস সার্ভিস চালু হলেও এসব পরিবহনের চালকরা শুরুতেই শরীয়তপুর গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। গাড়িগুলো যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়লেও শরীয়তপুর জেলার সুপার সার্ভিস বাস মালিকদের নির্দেশে পরিবহন শ্রমিকরা সব বাস তাদের স্ট্যান্ডে আটকে দেয়।

তাদের ধাওয়ায় চালক ও হেলপাররা পালিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর সন্ধ্যার পর যাত্রী ছাড়াই বাসগুলোকে ঢাকায় ফেরত যেতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঢাকাগামী যাত্রীদের অনেককেই (রোগীসহ) পড়তে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে।গত রোববার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টিঅ্যান্ডটি মোড়, সদর এলাকা পর্যন্ত খোঁজ নিতে গেলে চলাচলকারী বাস চালক, হেলপার ও সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে এসব অভিযোগ ও দুঃখ-কষ্টের কথা।

এই জেলার মানুষের কথা  পদ্মা সেতু হলো আমগো জেলায় সেতুর জন্য ঘর-বাড়ি জাগা জমি দিলাম আমরা  আর সুবিধা পাইতাছে মাদারিপুর ও অন্য জেলার মানুষেরা, সব জেলায় বড় বড় রাস্তা হইছে, সবাই রেল পথ পাবে, গ্যাস পাবে আমরা কি পাইলাম।

আগে লঞ্চে যাইতাম লাগতো দুই থেকে আড়াই ঘন্টা এখন সেতু দিয়া ঢাকা যাইতে লাগে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা। অথচ পদ্মা সেতু দিয়ে আমাদের এক-দের ঘন্টায় ঢাকা পৌছানোর কথা। ওইদিন বেলা ২টা ৫০ মিনিটে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে শরীয়তপুর পদ্মা ট্রাভেলস বাসটি শরীয়তপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। প্রতি যাত্রী ২৫০ টাকার টিকিট কেটে গন্তব্য রওনা হন।

১ ঘণ্টা না যেতেই মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে টোল দিয়ে অনায়াসে বাসটি সেতু পার হয়ে যায়। ৬ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হয়ে বাসটি শরীয়তপুরে প্রবেশ করে। এরপরই শুরু হয় বাসের দুলুনি আর মচমচানি। কারণ পুরো রাস্তাই সরু আর ভাঙ্গাচোরা।

তারপরও বাসটি বিকেল ৫টার দিকে শরীয়তপুরের বাসস্ট্যান্ড থেকে চার কিলোমিটার আগের প্রেমতলা যাওয়ার পরই স্থানীয় কয়েকজন হোন্ডারোহী বাস থামিয়ে চালককে বলেন, ভেতরে আর যাওয়া যাবে না। কারণ সেখানে বাস মালিক সমিতির লোকজন বাস ঢোকার কারণে ঝামেলা করছেন। গণ্ডগোল হতে পারে।


এতে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হলে অসুস্থ যাত্রীসহ অনেকেই অটোতে, ভ্যানে চড়ে শরীয়তপুর পর্যন্ত যান।রাতে পদ্মা ট্রাভেলসের এক যাত্রী  প্রেমতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে সময় জার্নালকে বলেন, সেতু হওয়ায় আমরা মনে করেছিলাম আমাদের ঢাকায় আসা-যাওয়া সহজ হবে।কিন্তু সেটা আর হলো না।


সেতুতে আমরা স্বস্তি পেলেও আমাদের শরীয়তপুরের মানুষের ভোগান্তি কমেনি। তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল পদ্মা সেতু চালুর পাশাপাশি শরীয়তপুরের রাস্তাগুলোকে চওড়া ও সুন্দর করা এবং এখানকার বাস মালিক সমিতির এই হয়রানী মূলক নিয়মের বিপরীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া  তা নাহলে আরো কত বছর ভোগান্তি পোহাতে হবে তা একমাত্র আল্লাহতায়ালা জানেন।

এসএম



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল