মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ১৯ জনের বিরুদ্ধে। উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের লনিশ^র গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নেতৃত্ব দেয় পাশ^বর্তী খিরণশাল গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে মোঃ রিপন, একই গ্রামের ফরিদ মিয়া ও তাঁর ছেলে মোঃ শহীদ, আবদুল মান্নানের ছেলে মোঃ সোহেল।
এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষীপ্ত হয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর অবস্থায় দেখা গেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, লনিশ^র গ্রামের এছাক মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ঘরের মেঝে পাকা করতে স্থানীয় কালাম মজুমদার মার্কেটের শহীদের রড সিমেন্ট দোকান থেকে ১০ বস্তা সিমেন্ট, এক গাড়ি বালু ও ৫০০ ইট ক্রয় করে। সাদ্দাম হোসেন গত ৩০ এপ্রিল সিমেন্ট, বালু ও ইট বাবদ ১৭ হাজার টাকা শহীদকে প্রদানের জন্য জিম্মাদার রিপনের নিকট হস্তান্তর করে। কিন্তু রিপন টাকা শহীদকে না দিয়ে আত্মসাত করায় ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে সাদ্দামের বাড়িতে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশে রিপন টাকা নিয়েছে এবং শহীদকে টাকা দিবে মর্মে স্বীকার করে।
পরে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে রিপন, শহীদ, ফরিদ মিয়া ও সোহেলের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা আলমিরা, ফ্রিজসহ আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করে। হামলাকারীরা সাদ্দামের ঘরে থাকা গরু বিক্রির নগদ ১ লক্ষ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি সেলাই মেশিনসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
এ সময় তারা সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রীকে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় যদি আবার বিচার-শালিশের আশ্রয় নেয়, তাহলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। পরদিন বুধবার সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে রিপন, শহীদ, ফরিদ মিয়া ও সোহেলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সাদ্দাম হোসেনের বয়োবৃদ্ধ পিতা এছাক মিয়াসহ গ্রামবাসী। এ ব্যাপারে রিপনের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সময় জার্নাল/এলআর