তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি:
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে শিক্ষাক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব সম্পর্কিত সেমিনারের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ২ জুলাই ) তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানার সভাপতিত্বে কলেজটির শহীদ বরকত মিলনায়তন অডিটোরিয়ামে উক্ত সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের প্রফেসর কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হলো আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয়করণের একটি চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি আরও বলেন, প্রথম শিল্পবিপ্লব হলো বাষ্পীয় ইঞ্জিন। পানি ও বাষ্পের ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি করাকে বোঝায়। দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব হচ্ছে বিদ্যুতের ব্যবহার করে গণ উৎপাদন। ইলেকট্রনিক্স আর তথ্যপ্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে গেল শতকের মাঝামাঝি সময়ে ট্রানজিস্টর আবিষ্কারের পর শুরু হলো তৃতীয় শিল্পবিপ্লব। আর এই তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের ওপর ভর করেই এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সূচনা হলো।
এখন এই শিল্প বিপ্লবের ফলে শিক্ষার্থীদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। নতুন কিছু জানতে হবে। এমনকি ভবিষ্যতের চাকরির বাজারেও শিল্প বিপ্লবের ফলে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।
আয়োজনে প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আবু বকর ছিদ্দীক জানান, এমন একটি উপাদান যেটি পৃথিবীর নিজস্ব কোন উপাদান নয় অথচ শিল্পবিপ্লবের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সেটির ব্যবহার করি। উত্তরটা হয়ত অনেকেরই জানা। সেটি হচ্ছে লোহা। লোহা আসলে পৃথিবীর কোন ম্যাটেরিয়ালস না। অথচ আমরা প্রতিনিয়ত এটির ব্যবহার করে যাচ্ছি। ইঞ্জিন তৈরি করতেও লোহার প্রয়োজন। এছাড়াও অন্যান্য যান্ত্রিক কাজে লোহার ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, যে জাতি যত শিক্ষিত সেই জাতি তত বেশি উন্নত। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রেও নতুনত্ব আসছে। বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপ্লব আসতে চলেছে।
তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে বিষয়টি আজকে তুলে ধরা হলো তা আমাদের ও আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং অন্যদেরকেও অনেক কিছু জানাতে পারলাম ও শিক্ষাক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে অবগত হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ফরহাদুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মো: শাহেদুল খবির চৌধুরী, তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: মহিউদ্দিন, তিতুমীর কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এএসএম আসাদুজ্জামান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোঃ সালাহউদ্দিন সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এমআই