এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নের এক নারী সদস্য সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে গভীর রাতে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে থানায়। পুলিশ এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল উঠে পড়ে লাগে। এক পর্যায়ে রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গোচরে এলে এ বিষয়ে মামলা হয় বোয়ালমারী থানায়।
জানা যায়, বুড়াইচ ইউপির ওই নারী সদস্য পাশের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে এক বাড়িতে আত্মীয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান গত শনিবার বিকেলে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা এলাকায় এসে তিনি সেখানে বসে থাকা কয়েকজন যুবকের নিকট বুড়াইচ যাওয়ার পথ কোনদিকে জানতে চান।
মামলায় ওই নারী মেম্বার জানান, পথ দেখানোর কথা বলে যুবকেরা তাকে পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ফেলে রেখে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।
পরবর্তীতে রবিবার (৩ জুলাই) সকালে ওই নারী সদস্য থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর দুপুরের দিকে প্রধান অভিযুক্ত মাহাবুব আলমকে (৩০) আটক করে পুলিশ। মাহাবুব বােয়ালমারী পৌরসভার দক্ষিণ কামার গ্রামের রায়পুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। পেশায় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, মহিলা মেম্বার বিষয়টি জানানোর পরই ঘটনায় জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ওসি আরও জানান, দুপুরে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মেম্বারকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতে এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর জানান, এ ঘটনায় মহিলা মেম্বার থানায় মামলা করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা সকল আসামিদের আইনের আওতায় আনতে সমর্থ্য হব।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় একটা চক্র আছে যারা এর আগে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে মুখে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। এই চক্রটি এবার ওই নারী সদস্যকে ধর্ষণ করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলো।
এমআই