সময় জার্নাল ডেস্ক : তিন বছরেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় হতাশ বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ডি-এইট নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডি-এইট সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছর ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে কোভিড ১৯ মহামারির কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় ডি-এইট সামিট।
ডেভেলপিং এইট বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডি-এইট সম্মেলনের এবারের আয়োজক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় শুরু হয় এই জোটের দশম সম্মেলন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এতে যোগ দেন মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের সরকার প্রধানরা।
এসময় ডিএইট এর বিদায়ী সভাপতি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান নতুন সভাপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
সম্মেলনে উন্নয়নশীল আট দেশের জোটের সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের স্বাগত জানান নতুন চেয়ার শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অর্থনীতি, বাণিজ্য, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে এই জোটের পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা সংকট থাকলেও তিন বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত দশম ডিএইট সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। কাজে লাগাতে হবে যুবদের সম্ভাবনাকে।