মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে অবস্থিত বিলকিছ আলম পাঠাগারের উদ্যাগে পালিত হয়েছে কবি আল মাহমুদের ৮৬তম জন্মদিন। কবি সাহিত্যিক শিক্ষকদের আলোচনায় নতুন করে উন্মোচিত হয়েছে পাঠক নন্দিত কবি। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়াইল গ্রামের মোল্লা বাড়িতে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন কবি।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কবি ইমরান মাহফুজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার কাজী আব্দুর রশিদ, কবি ফরিদ ভূইয়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাক্টার বাবলু মুসা, ফেনী সিটি কলেজের প্রভাষক ইয়াসিন পাটোয়ারী, কবি আহসান উল্লাহ, কবি সাইফুল ইসলাম হৃদয়, কবি আমজাদ হোসেন, পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কাদির, গ্রন্থাগারিক আমিনুল ইসলাম, কবি মোহাম্মদ শাহজাহান, কাজী মঈন উদ্দীন ও হাসান মুহাঃ জহির প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, সাহিত্যের বাঁক বদলের ইঙ্গিত ও ইতিহাস বুঝতে আল মাহমুদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার সাহিত্যকীর্তি বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। প্রবন্ধ কবিতা গল্প আত্মকথন মিলিয়ে আল মাহমুদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য অপরিহার্য।
বাংলা সাহিত্যের অসংখ্য কালজয়ী কবিতার কবি আল মাহমুদ। কবিতা তাকে যশ খ্যাতি এনে দিয়েছে। তিনি কবিতাকে দিয়েছেন তার অহঙ্কারে অলঙ্কারাবদ্ধ আবেগতাড়িত হৃদয়। ১৯৬৮ সালে তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ সোনালি কাবিনের সনেটগুচ্ছ লেখা শুরু হয়। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। চারদিকে সাড়া পড়ে যায়। ১৯৬৮ সালে কালের কলস কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক বাবলু মুসার সঙ্গে পাঠাগারের পাঠকদের মুখোমুখি আড্ডা হয়। তিনি প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ একজন পাঠক হিসেবে কীভাবে সুস্থ থেকে এগিয়ে যেতে পারেন শরীরেরতত্ত্ব নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। চিকিৎসা তার জীবনের অভিজ্ঞতায় তা শেয়ার করেন। সবার শেষে পাঠাগারের কার্যক্রম আরও কিভাবে গতিশীল করা যায় তা নিয়ে পরামর্শ দেন অভিজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিলকিছ আলম পাঠাগারের উদ্যোগে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর