আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। ছবিটি গত ৮ জুলাই তোলা
শ্রীলঙ্কাজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিলেন তিনি।
এছাড়া শ্রীলঙ্কান একটি প্রদেশে কারফিউও জারি করা হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কাজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একটি সামরিক বিমানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপ পালিয়ে যান বলে জানান দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও এক দেহরক্ষীসহ চার যাত্রী নিয়ে সামরিক বিমান অ্যান্তোনভ–৩২ মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করে।
মূলত শ্রীলঙ্কার কোনো আইনেই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের বিধান নেই। তবে পদত্যাগের পর গ্রেপ্তার হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া গোতাবায়ার পলায়নের পর বুধবার ভোর থেকেই বিজয় উদযাপনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় নেমে এসেছেন দেশটির মানুষ। অনেকেই শহরের প্রধান প্রতিবাদস্থল বলে পরিচিত গল ফেস গ্রিন-এ জমায়েত হয়েছেন।
বিবিসি বলছে, সেখানে তৈরি করা একটি অস্থায়ী মঞ্চে সাধারণ মানুষ উত্তপ্ত বক্তৃতা শুনছেন এবং এই ধারণা উপলব্ধি করছেন যে, সরকার এবং নেতারা তাদের সঙ্গে গভীরভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
এসব বক্তৃতার সাথে সাথে এসব মানুষ সিংহলী ভাষায় ‘ভিক্টরি টু দ্য স্ট্র্যাগল’ বা ‘সংগ্রামে বিজয়’ স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে বুধবার একদল বিক্ষোভকারীর ওপরে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে শ্রীলঙ্কান পুলিশ। মূলত বিক্ষোভকারীদের ওই দলটি বুধবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এই পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।
বিবিসি বলছে, ফ্লাওয়ার রোডে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে একদল বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভকারীরা সেখানে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বক্তৃতা করছেন।
এমআই