আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলম্বোতে কারফিউ জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। আগামীকাল শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে এই কারফিউ জারি করা হলো। এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এখনো তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেননি।
পদত্যাগ করতে সম্মত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত পদত্যাগ না করায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্গের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করছে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দল।
শত শত বিক্ষোভকারী এখনো তার পদত্যাগের দাবিতে তার অফিস দখল করে রেখেছে। গোতাবায়ার পদত্যাগপত্র বৃহস্পতিবার সকালেও পাওয়া যায়নি। এ প্রেক্ষাপটে বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরো বেড়েছে।
বিক্ষোভ তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিক্রমাসিংহে স্থানীয় সময় দুপুর (৬.৩০ জিএমটি) থেকে আগামীকাল সকাল ৫.০০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছেন বলে তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত একজন নিহত এবং ৮৪ জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবারই তার স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি পদত্যাগপত্র দাখিল না করলে শ্রীলঙ্কা নতুন সাংবিধানিক সঙ্কটে পড়ে যাবে।
কথা ছিল, গোতাবায়া দেশ ছাড়ার আগেই তার পদত্যাগপত্র দাখিল করবেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে যান।
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা রনিল বিক্রামাসিংহেকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছে। তারা তার পদত্যাগের দাবিতে অনড় রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে তার অফিস দখল করেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা এর আগে প্রেসিডেন্টের বাসভবন দখল করেছে। তারা বিক্রমাসিংহের বাসভবনে অগ্নিসংযোগও করেছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার জন্য নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার জন্য পার্লামেন্টের স্পিকারের প্রতি অনুরোধ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য স্পিকার মহিন্দা যাপা আবেবর্ধনেকে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে মালদ্বীপে রাজাপাকসের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ওঠেছে। দেশটির বিরোধী দলের নেতা দুনিয়া মামুন (সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের মেয়ে) গোতাবায়কে নিরাপদে পালিয়ে আসার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
অবশ্য মালদ্বীপের কেউ কেউ গোতাবায়াকে আশ্রয় দেয়ার পক্ষেও কথা বলেছেন। তারা বলছেন, সাবেক সরকারের আমলে তাদেরও শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল।
সময় জার্নাল/এলআর