আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার 'পলাতক' প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন। তবে তিনি শরণার্থীর মর্যাদা প্রদানের কোনো অনুরোধ করেননি বলে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তাকে সিঙ্গপুরে বেসরকারি সফরের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তার পদত্যাগপত্র এখনো শ্রীলঙ্কায় না আসায় দেশটিতে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি ৭৮৮-তে সিঙ্গাপুর রওনা হন, 'পলাতক' রাষ্ট্রনেতা। সন্ধ্যায় তিনি সেখানে অবতরণ করেন। তবে তিনি সেখানে সম্ভবত বেশি সময় থাকবেন না। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেখান থেকে সৌদি আরবের বন্দর শহর জেদ্দায় পৌঁছবেন তিনি।
বুধবার রাতে মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, রাজধানী মালে থেকে সিঙ্গাপুরে উড়ে গিয়েছেন গোটাবাইয়া। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্র ডেইলি মিরর জানায়, তখনো মালদ্বীপের রাজধানী মালেতেই রয়েছে তিনি। যদিও অন্তর্ধানের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সরকারিভাবে গোটাবাইয়ার ‘অবস্থান’ জানানো হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদ থেকেও ইস্তফা দেননি তিনি।
শ্রীলঙ্কার জনসাধারণ তার পদত্যাগপত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন। কারো কারো মতে, সিঙ্গাপুর পৌঁছে তিনি তার পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করবেন।
কথা ছিল, গোটাবাইয়া দেশ ছাড়ার আগেই তার পদত্যাগপত্র দাখিল করবেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে যান।
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা রনিল বিক্রামাসিংহেকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছে। তারা তার পদত্যাগের দাবিতে অনড় রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে তার অফিস দখল করেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা এর আগে প্রেসিডেন্টের বাসভবন দখল করেছে। তারা বিক্রমাসিংহের বাসভবনে অগ্নিসংযোগও করেছে।
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসে দেশ ছাড়বেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ৭৬ বছর বয়স্ক মহিন্দা রাজাপাকসে তার সহকারীর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন। তার ছোট ভাই ও প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে পালিয়ে দেশ ত্যাগ করায় মহিন্দাও একই পথ অনুসরণ করতে পারেন বলে আশঙ্কা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা দেয়া হলো।
সময় জার্নাল/এলআর