সময় র্জানাল ডেস্ক: ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের একটি পুরাতন পুলিশ বক্স ছিল। এর পাশেই কংক্রিটের পিলার স্থাপন করে ইটের দেয়াল গেঁথে আরেকটি স্থায়ী পুলিশ বক্স নির্মাণ করা হয়েছিল। অভিযানের সময় দুটি পুলিশ বক্সই ভেঙে ফেলা হয়েছে। অভিযান শুরুর আগে পুরাতন পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য আসবাব সরিয়ে নেন ওই স্থানের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করেন অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। উচ্ছেদ অভিযানে পুরো সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, পথচারীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। আজকে যদি এ ফুটপাত ব্যবহার করতে না পারার কারণে কোন দুর্ঘটনা ঘটে বা কোন পথচারীর মৃত্যু হয় এ দায় কে নেবে? দেখে খুবই আশ্চর্য লেগেছে, খুব খারাপও লেগেছে। আমাদের ১৮ ফুট চওড়া ফুটপাতটিকে কীভাবে স্থায়ী পুলিশ বক্স করা হয়েছে।এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী, রোগীর স্বজনরা এ ফুটপাত দিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করেন। অনেকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করেন। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে এই ফুটপাত দিয়ে। এসব বিষয় চিন্তা করে এ এলাকায় ফুটপাত চওড়া করে বানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আমাকে জানিয়েছে ফুটপাতে এ স্থাপনার জন্য তাদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি তাদের রাস্তায় নেমে যেতে হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়।তিনি আরও বলেন, পিলার ও দেয়াল দিয়ে ফুটপাত পুরো দখল করে পুলিশ বক্স হবে, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। অবশ্যই পুলিশদের জন্য জায়গা লাগবে। তবে আলোচনার ভিত্তিতে কাজগুলো করা যায়।পুলিশ বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা আসুন, আলোচনা করুন। দরকার হলে আমরা সরকারকে বলব পুলিশ বক্সের জন্য জায়গা দিতে। কিন্তু এভাবে পুরো ফুটপাত দখল করে পুলিশ বক্স করা হবে, তা কাম্য নয়। জনগণ যাতে দুর্ভোগ না পোহায় এ ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।
সিটি করপোরেশনের জায়গায় কোনো স্থাপনা করতে চাইলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়েই করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
এসএম