শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। গত শনিবার থেকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাচ্ছে না। শামসুন্নাহার বেগমসহ ওই বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক ও ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বাবু নামে এক অভিভাবক জানান, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এ এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি বিদ্যালয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বেগম সময়মতো বিদ্যালয়ে যান না। বিদ্যালয়ের ফ্যান, নলকুপ, বাথরুম মেরামত না করে উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। আমরা অভিভাবকরা এসব অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করেন। তাই গত শনিবার থেকে আমরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি না।
আরেক অভিভাবক নুর ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টি বিস্কুটও আত্মসাৎ করেছেন। স্থানীয়রা তাকে পুষ্টির বিস্কুটের কার্টুনসহ ২ বার আটক করেছিল।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, গত শনিবার থেকে বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী না আসায়, পাঠদান হয়নি। আমরা বিদ্যালয়ে এসে অলস সময় কাটাচ্ছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।
প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি সময়মতো এবং নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাই। কোনো অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমি খারাপ আচরণ করিনি। বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় আমি নিজেই উন্নয়নমুলক কাজ করেছি। আমি কোনো অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধান শিক্ষাককে অপসারণ করা হতে পারে। আজ মঙ্গলবার অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে বলে জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর