শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নিয়ে শাসালেন কুবি ছাত্রলীগ নেতা সাকিব

মঙ্গলবার, জুলাই ২৬, ২০২২
সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নিয়ে শাসালেন কুবি ছাত্রলীগ নেতা সাকিব

মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তিনজন সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে প্রমাণ লোপাট ও শাসানোর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার সাকিবের বিরুদ্ধে। এসময় তিনি আরও কয়েকজন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে বার্তা২৪ এর কুবি প্রতিনিধি অনন মজুমদার, বাংলা ট্রিবিউনের কুবি প্রতিনিধি ইমতিয়াজ হাসান রিফাত ও বাংলাদেশ বুলেটিনের কুবি প্রতিনিধি জাভেদ রায়হানের ব্যক্তিগত ফোন কেড়ে নেন, তাদের শাসান এবং দালিলিক প্রমাণ নষ্ট করেন। 

গতকাল সোমবার (২৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে পূর্বে প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে কথা বলার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক ইমতিয়াজ হাসান রিফাত ও জাভেদ রায়হান বলেন, কুবি ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস ভাই আমাদের সাথে পূর্বে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এর একপর্যায়ে আমাদের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন খায়রুল বাশার সাকিব। এসময় আমাদের চারপাশেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘিরে ছিলেন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আমরা তিনজন দালিলিক প্রমাণ হিসাবে রেকর্ড করার চেষ্টা করলে খায়রুল বাশার সাকিব আমাদের হাত ও পকেট থেকে মোবাইল কেড়ে নেন এবং রেকর্ড ডিলিট করতে বাধ্য করেন। এসময় তিনি আমাদের রেকর্ড কেনো করেছি তা নিয়ে হেনস্থা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল বাশার সাকিব প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে আবার বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছি রেকর্ড করছে কি না৷ এরপর সে নিজেই তা ডিলিট করেছে’৷ সাংবাদিকদের এভাবে চার্জ করা যায় কি না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা অনুমতি নিয়ে রেকর্ড করেনি৷ তাই তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে৷’

গত ১৯, ২০ ও ২১ জুলাই টানা তিন দিন কুবি শাখা ছাত্রলীগের মানববন্ধন, একইদিন উপাচার্যের কক্ষে কুবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য এবং নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে উপাচার্যকে চাপ প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরই জের ধরে খায়রুল বাশার সাকিব সংবাদ প্রকাশের কুবি প্রতিনিধি আবু সাঈদকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সিট থেকে চলে যেতে বলেন এবং তার সিটে প্রথম বর্ষের একজনকে তুলে দেন। পরবর্তীতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের হস্তক্ষেপে আবু সাইদকে তার নিজের সিট বুঝিয়ে দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু সাইদ বলেন, উনি রুমে এসে আমাকে বলে তোমাকে রুমে কে তুলছে। আমি তাকে জানাই প্রভোস্ট স্যারের সাথে কথা আমি গতবছর হলে উঠি। তখন উনি এ ব্যাপারে কিছুই জানে না জানিয়ে প্রথম বর্ষের একজনকে আমার বেডে তুলে দেন এবং আমাকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল বাশার সাকিব অস্বীকার করে বলেন, আমি এসব কাজ করিনি।

তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই রুমে থাকা রফিক উদ্দিন বলেন, খাইরুল বাশার সাকিব ভাই রুমে আবু সাইদকে বের হয়ে যেতে বলেন ও তার সিটে আরেকজনকে উঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন জানলাম। খুঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

ছাত্রলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে এর আগে গত ১৮ মার্চ ডেকোরেশন ব্যবসায় ব্যবহৃত বাঁশে প্রস্রাব করতে নিষেধ করায় স্থানীয় এক যুবককে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে। এই সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই এই তিন সাংবাদিকসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিকের উপর নানা সময়ে খাইরুল বাশার সাকিব আক্রমণাত্বক আচরণ প্রকাশ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল