মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষিকার সাথে ছাত্রের বিয়ে

আমরা দুজন যদি ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক

রোববার, জুলাই ৩১, ২০২২
আমরা দুজন যদি ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক

সময় জার্নাল ডেস্ক:টোরের গুরুদাসপুরে খাইরুন নাহার (৪৫) নামের এক কলেজ শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন মো. মামুন হোসেন (২২) নামের এক কলেজছাত্র। তাদের বয়সের পার্থক্য ২৩ বছর। অসম প্রেম ও বিয়ের এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। তবে এ নবদম্পতিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অনেকে।


গতবছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা খাইরুনের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিন্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা।


বিয়ের ছয় মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। বর্তমানে নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাসায় দুজন বসবাস করছেন।এরআগে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় খাইরুন নাহারের। তবে পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে তার একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।


জানতে চাইলে খাইরুন নাহার বলেন, ‘প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ভালোবাসা হয়। তারপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করি।’


তিনি বলেন, ‘সমাজে কে কী বলে তা বড় বিষয় না। আমরা দুজন যদি ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক। আমার পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তবে তার বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি।’


এ বিষয়ে মামুন হোসেন বলেন, ‘মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। খাইরুনকে বিয়ে করে আমি খুশি এবং সুখী। সবার দোয়ায় সারাজীবন এভাবেই থাকতে চাই।’জানতে চাইলে খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এম আবু সাঈদ বলেন, তিনি বিয়ের বিষয়টি শুনেছেন। তবে কলেজ শিক্ষক খাইরুন নাহারের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।








এসএম



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল