সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গত সোমবার সন্ধ্যায় মারধর ও হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রী। এ ঘটনায় পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তবে তিন দিনেও তাঁদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা আমার এক কাজিনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমরা টিএসসি চত্বরে বসে কথা বলছিলাম। এ সময় পাঁচ-ছয়জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক হঠাৎ এসে আমার কাজিনকে অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে কিলঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। মেরে রক্তাক্ত করার পর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে কিছুদূর নিয়ে যান তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর পরিচয় দিয়ে আমি তাঁকে বাঁচাতে গেলে যুবকেরা আমাকেও মারধর করেন ও লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।’
ছাত্রীর অভিযোগের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে শাহবাগ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার তথ্য না পেয়ে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের পর টিএসসির সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে আবদুল্লাহ আল মারুফ নামের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতার কথা জানা যায়। পরে ওই ছাত্রকে আটক করতে গেলে তিনি ঘটনার সঙ্গে রাইদুল খান ওরফে কৌশিক নামের আরেক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতার কথা বলেন।
এরপর মঙ্গলবার (গতকাল) রাইদুলকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে প্রক্টরিয়াল বডি।এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রী অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে। সে শাহবাগ থানায় জিডিও করেছে। এটা যেহেতু ক্রিমিনাল অফেন্স ও অভিযুক্তরা অজ্ঞাতনামা, তাই আমরা শাহবাগ থানাকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি। এটার কী অগ্রগতি হলো, তা-ও আমরা জানাতে বলেছি।’
এদিকে আটক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার। আজ বুধবার দুপুরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর জিডিটি তদন্তাধীন। আপাতত ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আটক শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
এসএম
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল