ইলিয়াস হোসেন : প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসকদের নাম। ৩ দিনে করোনাজনিত সংক্রমনে ৭ জন চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শনিবার (১০ এপ্রিল) একদিনেই ৩ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। আগের ২ দিন অর্থাৎ শুক্র ও বৃহস্পতিবারেও ২ জন করে চিকিৎসক মারা যান।
১০ এপ্রিল (শনিবার ) করোনায় মারা গেছেন ৩ চিকিৎসক :
শনিবার বিকেলে মারা গেছেন শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. এ.বি.এম মুসা। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক-২০ ব্যাচ) থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।
একইদিনে মারা গেছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোজাদ্দেদ মেহেদী। তিনি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিএস ডিগ্রি (কে-৪৪ ব্যাচ) অর্জন করেন তিনি।
শনিবারের শুরুতেই মারা গেছেন ডা. গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
৯ এপ্রিল (শুক্রবার) করোনাভাইরাসে দুজন চিকিৎসক মারা যান :
এদিন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন গরিবের চিকিৎসক খ্যাত আব্দুল লতিফ।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে নিজের গড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
চিকিৎসায় তাঁর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বন্ধু-স্বজনদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
শুক্রবার মৃত্যুবরণকারী অপর চিকিৎসক হলেন, চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. মোহাম্মদ মুনীর। শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত ৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) করোনা আক্রান্ত দুজন চিকিৎসক মারা যান। তাদের একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. ওবায়দুল্লাহ। এদিন সকাল আটটায় মারা যান তিনি। অধ্যাপক ডা. ওবায়দুল্লাহ রামেকের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া অপর চিকিৎসক হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. মো. শওকত আলী।
সময় জার্নাল/ইএইচ