সাহিত্য ডেস্ক:
মোটা দাগে এক জন কবিকে যেসব ভূষণ দেওয়া হয়—কবি মহাদেব সাহাকেও সেই ভূষণ দেওয়া যায়| মানবতাবাদী কবি, প্রকৃতি ও প্রেমের কবি| কিন্তু এসব গত্বাঁধা ভূষণে কী এক জন কবির সব উচ্চারণকে স্পর্শ করা সম্ভব?
বাংলার প্রকৃতির যে শান্ত রূপ, সমতল জমিনের যে দিগন্ত বিস্তৃত উন্মুক্ত চরাচর, বাংলার নদীর যে কুলকুল বয়ে চলা, বাংলার মানুষের প্রেম যে স্নিগ্ধতা নিয়ে বিরাজ করে—এসবের কিছুই তো ঐসব বিশেষণে ‘আঁটে না’| কিন্তু মানুষের, প্রকৃতির সব রূপ, অনুচ্চারিত মনের বাঙ্ময়তা মূর্ত হয়ে উঠতে দেখা যায় কবি মহাদেব সাহার কবিতায়| প্রকৃতির ছন্দ, নদীর বয়ে চলা, মানুষের আবেগ—নিস্তব্ধ, প্রায় অনুচ্চারিত অথচ ঋজু ঋদ্ধ ভাষায় তিনি ছড়িয়ে দেন কবিতায়| তার কবিতার পঙ্ক্তিমালা আলোড়িত করে, জাগিয়ে তোলে, হূদয়ে ছড়ায় ভালোবাসা, বিরহ যন্ত্রণা—আমন্ত্রণ জানিয়ে বলে ‘ভালোবাসো’| কবি মহাদেব সাহার ৭৯তম জন্মদিন আজ| জন্মদিনে বিভিন্ন সংগঠনে কবিতা ও গানে তার জন্মদিন উদ্যাপনে নানা আয়োজন করেছে|
কবি মহাদেব সাহার জন্ম ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জ জেলার ফুলজোর নদীর পাশে ধানঘড়া গ্রামে| পিতা গদাধর সাহা, মাতা বিরাজমোহিনী| পিতামাতার একমাত্র সন্তান| কবি মহাদেব সাহার স্ত্রী নীলা সাহা| দুইপুত্র তীর্থ সাহা ও সৌধ সাহা| দীর্ঘকাল দৈনিক ইত্তেফাকে সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি | কাব্যসাধনার স্বীকৃতি হিসাবে তিনি অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন|
এমআই