সেলিম আহমদ তালুকদার, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, জাতির পিতার সন্তান হয়েও শেখ কামাল ছিলেন অতি সাধারণ। সাদাসিধা জীবন যাপন করেই তিনি সকলের কাছে হয়ে উঠেছিলেন অসাধারণ হিসেবে। তিনি বলেন, ক্রীড়া এবং সংস্কৃতিমনা থাকায় দেশের প্রতি শেখ কামালের ভালোবাসা ছিল অগাধ। তিনি শুক্রবার শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন,যারা সাংস্কৃতিকমনা এবং সরাসরি সাংস্কৃতির সাথে জড়িত, তারা কখনো খারাপ কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারেন না। প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন পৈতৃকসূত্রেই অনেক ধনাঢ্য ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাদেন অনেক স¤পত্তিও ছিল। টুঙ্গিপাড়ায় এখনো সেই পুরাতন ভবনটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়া মাহফিল করেন। সেখানে যারা দর্শনার্থীরা যান দেখতে পান, বঙ্গবন্ধুর মায়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র এখনো সুন্দর করে সংরক্ষিত আছে। তিনি বলেন,যদি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা দুজনে বিদেশে না থাকতেন,তাহলে ঘাতকদের বুলেটে তাদেরও প্রান যেতো। বিদেশে ছিলেন বলেই তাই বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু হারিয়েছেন তাঁদের সবাইকে। তিনি শেখ কামালের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,সুনামগঞ্জ এর যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার-উল-হালিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বিপিএম, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মো.শাহনুর আলম, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুস ছাত্তার। আলোচনা সভায় প্রথমেই যুব মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সম্পাদনায় ও সিনিয়র সচিব এর তত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ট পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালকে নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ জেলা প্রশাসকের হাতে তোলে দেন যুব মন্ত্রনালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহনুর আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, একটি পক্ষ থেকে শেখ কামালকে নিয়ে জঘন্য রকমের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করা হয়। অথচ শেখ কামাল ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর স্ত্রী সুলতানা রোজীও একজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
বঙ্গবন্ধুর পুত্র হয়েও তিনি খুব সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। বাংলাদেশে আর কোন রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান এত সাধারণ জীবনযাপন করেননি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ারকর্মীবৃন্দ।
সময় জার্নাল/এলআর