সময় জার্নাল ডেস্ক:
দেশের সকল বয়সী, সকল পর্যায় থেকেই নারীরা নিজে কিছু করার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছেন। প্রত্যেকে তাদের সবচেয়ে ভালো পণ্যটি ক্রেতার কাছে পৌছে দেবার জন্যই আসছেন। তারপরও শোরুমগুলোর পণ্যের চেয়ে বিক্রি কম হয় ।
এ বিয়য়ে ওয়াসি ক্রাফট বুটিকের উদ্যোক্তা আফসানা ইয়াসমিন বলেন, ভালো পণ্য হলেও শোরুমগুলোর পণ্যের চেয়ে বিক্রি কম হয় আমাদের। এর প্রধান কারণ ব্র্যান্ডিং না থাকা। মার্কেটিং ও নেটওয়ার্কিংটা কীভাবে করতে হয় তা শিখতে হবে।
নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় ‘উদ্যোক্তা হাট’সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান এধরনের সাহায্য করে আসছে।
নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতাগুলো কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় তা শেখানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা দেয়া হচ্ছে। পণ্যের প্রচার প্রচারণা ও ব্যবসায়ে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
লেদার প্রোডাক্টস ট্যাম ক্রিয়েশনের উদ্যোক্তা তানহা আক্তার মুক্তা বলেন, আমরা এখানে যুক্ত হয়ে একজন নারী উদ্যোক্তা কীভাবে তার ব্যবসাকে সহজভাবে করতে পারে এবং ভালোভাবে বাড়াতে পারে তার সবগুলো বিষয়ই এখানে শেখানো হচ্ছে। কি করে কর্মী ব্যবস্থাপনা, প্রচারণা ও যোগাযোগ করা যায়। যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলোর সমাধান করে সঠিকভাবে পরিচালনা এবং অর্থের যোগান কোথা থেকে হবে সে বিষয়গুলো এখানে দেখানো হচ্ছে।
পূর্ণতা ক্র্যাফটের স্বত্বাধিকারী সাবিহা ইসলাম বিথী বলেন, মেলাটা করা হয় মূলত মার্কেটিংটা কীভাবে করা যায়। প্রোডাক্ট কীভাবে বিক্রি বাড়ানো যায় এবং যোগাযোগ কীভাবে তৈরি করা হয় সেগুলো দেখানোর জন্য। পাশাপাশি অনেকের সঙ্গ এখানে পরিচিত হচ্ছি যেটা পরবর্তীতে প্রোডাক্ট বিক্রিতে কাজে দিতে পারে।
আই ক্লের স্বত্বাধিকারী শিলা আক্তার বলেন, আমার মূল সমস্যা হচ্ছিল প্রচারণা, সেটা আমি শিখছি। আমার পণ্য বিক্রি মোটামুটি হয় যেটা আরও বেশি হওয়ার কথা ছিল। এখানে আমার যে সমস্যা রয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য মার্কেটিং কীভাবে করা যায় সেগুলো দেখানো হচ্ছে।
এধরনের মেলার আয়োজন যত বেশি হবে বাড়বে নেটওয়ার্কিং। সেইসাথে নতুন উদ্যোক্তাদের আরো বেশি অংশগ্রহণ করতে হবে।
সময় জার্নাল/এলআর